
১) যে ধ্বণি কেবলমাত্র মানুষের বাগযন্ত্র থেকে নিঃসৃত তাই-ই ভাষা। অর্থাৎ ভাষা হল বাগযান্ত্রিক প্রক্রিয়া।
২) ভাষা হল প্রতীক। কারণ, ধ্বণি যদি কোন ভাবের বাহন বা প্রতীক না হয় তাহলে তাকে ভাষা বলা যায় না।
৩) ভাষার বহিরঙ্গ (ধ্বণি) ও অন্তরঙ্গ (অর্থ) দুটি রূপ বর্তমান।
৪) ভাষার মধ্যে ব্যবহৃত কোন্ ধ্বণিটি কোন্ ভাবের প্রতীক হবে সে সম্পর্কে কোন কার্যকারণগত সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই।
৫) মানুষ তার ইচ্ছা অনুযায়ী পছন্দমত শব্দকে ভাষায় ব্যবহার করতে পারে।
৬) বিধিবদ্ধ বিন্যাসক্রম হল ভাষার একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
৭) ভাষা কোন বিশেষ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত ও স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত।
৮) নির্দিষ্ট নিয়মে যুগের ক্রমবিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি ভাষাবংশ থেকে অনেক ভাষার সৃষ্টি হয়।
৯) একটি ভাষা কালক্রমে উপভাষায় বিশ্লিষ্ট হতে পারে।
১০) ভাষার সামাজিক স্বীকৃতির পাশাপাশি সরকারি স্বীকৃতি থাকাটাও অপরিহার্য।
১১) ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল একাধারে যেমন এর মৌখিক রূপ থাকবে অপরদিকে তেমনি লিখিত রূপও থাকবে।
১২) শিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হল ভাষার একটি বৈশিষ্ট্য। কারণ, ভাষার মাধ্যমে সাহিত্য রচনা, শিল্প সৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হওয়া যায়।
১৩) জন্মের পর ভাষা না শোনা পর্যন্ত শিশুর পক্ষে শেখা সম্ভব হয় না। তাই বলা হয় মানব ভাষা সহজাত নয়, এটি সম্পূর্ণরূপে অর্জিত।
১৪) গ্রহণযোগ্যতা হল ভাষার উল্লেখযোগ্য একটি বৈশিষ্ট্য।
১৫) ভাষাকে বার্তাবাহক বলা হয়। কেননা ভাষা সর্বদাই কোন না কোন বার্তা বহন করে।
১৬) পৃথিবীর যে কোন ভাষারই জন্ম, বিবর্তন ও পরিণত রূপ আছে। তাই ভাষাবিজ্ঞানীরা ভাষাকে বায়োলজিক্যাল অর্গানিজম বলেছেন।
১৭) ভাষার সঙ্গে ভৌগোলিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় অবস্থানের সম্পর্ক সর্বদা অবশ্যম্ভাবী নয়।
১৮) ব্যবহারের মধ্য দিয়ে কোন ভাষা বেঁচে থাকে, আবার অব্যবহারের ফলে ভাষার মৃত্যুও হতে পারে।
১৯) ভাষা হল একটি প্রক্রিয়া বা ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে মানুষ সামাজিক সংযোগ রক্ষা করে।
২০) মানুষ তার অর্জিত ভাষার মধ্য দিয়ে বংশ পরম্পরায় নিজ বংশের ঐতিহ্যকে বহন করার ক্ষমতা রাখে।
ভাষার কার্যাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
0 Comments: