NMEICT (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য)
INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

NMEICT (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য)

NMEICT (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য)

 তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য

(Objectives of National Mission on education through ICT) 


        তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষা মিশন (NMEICT) ভারত সরকারের তৎকালীন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (MHRD) এর অধীনস্থ একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা, যার পথ চলা শুরু হয়েছিল 2009 সালের 3 ফেব্রুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতিতে আনুষ্ঠানিক সূচনার মধ্য দিয়ে। 

        NMEICT নামক মিশনটির মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থাকে শিক্ষার্থীর হাতের নাগালে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া শিক্ষকদের জ্ঞান বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। পরিকল্পনাটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় 50 কোটিরও বেশি ভারতবাসীকে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে এসে শিখনের চাহিদাগুলি পূরণ করা ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধিকে সম্পূর্ণ করতে এবং সাম্প্রতিক তথ্যগুলি তাদের সামনে উপস্থাপন করতে এই মিশনের গুরুত্ব অপরিসীম। 

এই মিশনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলি নিম্নরূপ- 

১) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহায়তায় বাহ্যিক জ্ঞানকে শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের আঙিনায় পৌঁছে দেওয়া। 

২) সকল শিক্ষার্থীর শিখন চাহিদা পূরণে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করা। 

৩) বৌদ্ধিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প সময়ে কাঙ্ক্ষিত ও যথাযথ জ্ঞানের অনুসন্ধান করা। 

৪) ICT এর মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা। 

৫) শিক্ষাক্ষেত্রে ই-লার্নিং কে সঠিকভাবে ব্যবহার করা। 

৬) বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করে শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু ও বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করা। 

৭) সমস্ত শিক্ষার্থীর কথা মাথায় রেখে ভারতবর্ষের  বিভিন্ন ভাষায় e-content তৈরি করা। 

৮) ই-লার্নিং সম্পর্কিত বিভিন্ন সংস্থাগুলির মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে একত্রে কার্য পরিচালনা করা। 

৯) বিনোদন মূলক শিক্ষা উপকরণ গুলির অধিক ব্যবহার এবং উন্নতি সাধন। 

১০) কানেক্টিভিটি ও অ্যাক্সেস ডিভাইসের মাধ্যমে সেন্টারিং এবং টেস্টিং সিস্টেমকে পরিচালনা করা।

১১) প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে সুলভে ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করতে পারে তার ব্যবস্থা করা 

১২) বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক মডিউল এর মধ্যে নমনীয়তা প্রদান করা। 

১৩) ভার্চুয়াল গবেষণাগার ও কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের গুণগত মান বৃদ্ধি করা। 

১৪) EDUSAT এর মাধ্যমে শিক্ষাগত বিষয়বস্তুকে বিতরণ করা এবং 1000 DTH পরিষেবা প্রদান করা। 

১৫) ওয়েব ভিত্তিক শিখন প্রক্রিয়ার সঠিক ব্যবহারপূর্বক শিক্ষার্থীর জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ করা। 

১৬) CWSN শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল স্বাক্ষরতার আওতায় নিয়ে আসা। 

১৭) বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও সংস্থার মধ্যে প্রযুক্তিগত ধ্যানধারণা সম্পর্কিত আলোচনার জন্য সমন্বয় সাধন করা। 

১৮) ভার্চুয়াল-প্রযুক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য সহায়তা প্রদান করা। 

১৯) মানব সম্পদের দ্বারা গঠিত ডেটাবেসকে সঠিকভাবে সম্প্রসারণ ও পরিচালনা করা। 

২০) ইন্টারনেট নির্ভর শিখনের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণ।

0 Comments: