google.com, pub-5145004260852618, DIRECT, f08c47fec0942fa0 BSAEU, B.ED, SEM-I, COURSE-IV, LEONARD BLOOMFIELD'S LANGUAGE THEORY (লিওনার্দ ব্লুমফিল্ডের ভাষাতত্ত্ব)
INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

BSAEU, B.ED, SEM-I, COURSE-IV, LEONARD BLOOMFIELD'S LANGUAGE THEORY (লিওনার্দ ব্লুমফিল্ডের ভাষাতত্ত্ব)

BSAEU, B.ED, SEM-I, COURSE-IV, LEONARD BLOOMFIELD'S LANGUAGE THEORY (লিওনার্দ ব্লুমফিল্ডের ভাষাতত্ত্ব)

    লিওনার্দ ব্লুমফিল্ড ১৮৮৭ সালের ১লা এপ্রিল আমেরিকার শিকাগো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন সিগ্মুন্ড ব্লুমফিল্ড এবং মা ক্যারোলা বাবের ব্লুমফিল্ড এনারা দুজনেই ইহুদি ছিলেন। 




শিক্ষাজীবন- ব্লুমফিল্ড প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন এলকার্ট লেক, উইসকনসিনে; এরপর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আবার শিকাগো শহরে ফিরে আসেন। (১৯০৩-১৯০৬) হাভার্ড মহাবিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং সেই সময় জার্মানিক ফিলোলোজির পাশাপাশি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের উপর চর্চা ও বিশেষ অধ্যয়ন করেন। তারপর উড-এর তত্ত্বাবধানে 'জার্মানিক হিস্টোরিক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজ' -এর উপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। অবশেষে (১৯১৩-১৪) সালে লেইপজিগ এবং গটিংজেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। 


কর্মজীবন- ব্লুমফিল্ড ছিলেন একজন বিখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ এবং পেশায় শিক্ষক। ১৯০৯-১০ সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষার নির্দেশকরূপে কাজ করেন। ১৯১০-১৩ ঈলিনয়িস বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষার নির্দেশক ছিলেন। ১৯১৩-২১ তুলনামূলক ধ্বনিতত্ত্ব (Comparative Philology) ও জার্মান ভাষার অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯২১-২৭ ওহিয়ো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। এরপর ১৯২৭-৪০ শিকাগো এবং ১৯৪০-৪৯ ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকরূপে কাজ করেছেন।


আগ্রহ- ইন্দো-ইরোপীয় ভাষা পরিবার ছিল তার গবেষণার প্রধান বিষয়বস্তু। এছাড়া জার্মান ভাষার Speech এবং Word Formation -এর উপরও গবেষণা করেছেন। এগুলি ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার আদিম অধিবাসীদের ব্যবহৃত ভাষার (অষ্ট্রোনেশিয়ান, অ্যালগংকিয়ান) উপরেও কাজ করেছেন। 


রচনা- ভাষাবিদ ব্লুমফিল্ডের লেখা দুটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ-

i) An introduction to the study of Language (1914) 

ii) Language (1933)


মৃত্যু- ১৯৪৯ সালের ১৮ই এপ্রিল নিউ হেভেন -এ মাত্র ৬২ বছর বয়সে এই বিখ্যাত ভাষাবিদ পরলোক গমন করেন।


লিওনার্দ ব্লুমফিল্ডের ভাষা বিকাশের তত্ত্ব (Language development theory of Leonard Bloomfield)


1. Descriptive and Structural Linguistics ( বর্ণনামূলক এবং গঠনকেন্দ্রিক): বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানে কোন একটি ভাষার একটি নির্দিষ্ট সময়ের রূপ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা হয়। যেমন- মূল শব্দ 'তুমি'।

কর্তৃকারকে- তুমি

কর্মকারকে- তোমাকে

করণকারকে- তোমার দ্বারা

সম্প্রদানকারকে- তোমার জন্য

অপাদানকারকে- তোমা হতে/থেকে

অধিকরণকারকে- তোমাতে/তোমার জন্য

সম্বন্ধপদ- ব্যবহারিক পদ অনুযায়ী।

বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের বিকশিত রূপের নাম গঠনকেন্দ্রিক বা অবয়ববাদী ভাষাবিজ্ঞান। এখানে ভাষার গঠনে ধ্বনি, শব্দ, বাক্য ইত্যাদি সব মিলিয়েই একটা সামগ্রিক অবয়ব রচিত হয়। ব্লুমফিল্ড তার 'Language' গ্রন্থে এর ব্যাখ্যা করেছেন।


2. Linguistic form (ভাষার গঠনতত্ত্ব)

i) রূপিম (Morpheme)- ভাষার সবচেয়ে ছোট অথচ অর্থপূর্ণ একক হল রূপিম্ বা মূলরূপ। যেমন- হালচাল= 'হাল্' ও 'চাল্' দুটোরই অর্থ আছে, তাই এগুলি রূপিম্। Blackberry= 'Black' ও 'Berry'। কিন্তু ধাক্কা= 'ধাক্' ও 'কা' শব্দ দুটি রূপিম নয়, কারণ দুটোই অর্থহীন শব্দ।


ii) শব্দ (Word)- শব্দ হল অর্থপূর্ণ ধ্বণিসমষ্টি। কয়েকটি ধ্বণি সাজিয়ে ভাষার যে অর্থপূর্ণ ক্ষুদ্রতম একক পাওয়া যায় তাকেই সাধারণত শব্দ বলে। ব্লুমফিল্ড বলেছেন যে-কোন ভাষার শব্দ মাত্রেই সে একাই উচ্চারিত হতে পারে। তাই একে শব্দের free form বলা যায়। যেমন- Pen, Hand ইত্যাদি।


iii) বাক্য (Sentence)- ভাষাকে বিশ্লেষণ করতে যে বৃহত্তম এককগুলি পাওয়া যায় সেগুলিই হল বাক্য। অর্থাৎ বাক্য হল ভাষার বৃহত্তম স্বয়ংসম্পূর্ণ একক।


ক) Absolute position (স্বয়ংসম্পূর্ণ অবস্থান)

খ) Included position (অন্তর্গত অবস্থান)

উদাহরণ - আমার প্রশ্নের উত্তর কে বলতে পারবে?

.............'আমি'। (স্বয়ংসম্পূর্ণ)

স্যার, 'আমি' বলতে পারবো না।(অন্তর্গত)।


3. Concept of Sentence (বাক্য সম্পর্কিত ধারণা)- 

i) Construction (গঠন): পূর্ণ অর্থ সমন্বিত বা খন্ডিত অর্থ সমন্বিত যে কোন পদসমষ্টি বা রূপিমের সমষ্টিই হল Construction বা গঠন।


ii) Phrase (পদগুচ্ছ): বাক্যের ক্ষুদ্রতম পদসমষ্টি যার কিছু না কিছু অর্থ আছে তাই-ই হল Phrase বা পদগুচ্ছ। এটি প্রধানত দুই প্রকার-

ক) Noun phrase (NP)

খ) Verb phrase (VP)


4. Fundamental Assumption of Linguistic (ভাষাবিজ্ঞানের মূল ধারণা)- 

i) বক্তব্যরীতি (Act of speech)- কোন ব্যাক্তির বক্তব্যই হল Act of speech, এটি মূলত মানুষের উচ্চারণের উপর নির্ভর করে।


ii) ভাষা জনগোষ্ঠী (Speech community)- যখন কোন নির্দিষ্ট মানবগোষ্ঠী নিজস্ব বক্তব্যরীতির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান করে তাকে ভাষা জনগোষ্ঠী বা Speech community বলে।


iii) আচরণবাদ (Behaviourism)- কোন নির্দিষ্ট ভাষার দুই ব্যাক্তির মধ্যে ভাষার মাধ্যমে ভাবের যে আদান-প্রদান ঘটে তা সম্পূর্ণ আচরণভিত্তিক। কোন ব্যক্তির বক্তব্য অপর কোন ব্যক্তি কতটা বুঝবেন তা আচরণের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ বোঝানো এবং বোঝার চেষ্টাই হল এক্ষেত্রে আচরণভিত্তিক। 


নোয়াম চমস্কির মনস্তত্বপ্রধান ভাষাতত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।


0 Comments: