Assignments on Developing Listening Skills- Listening to speech, directions. (শ্রবণ দক্ষতা বিকাশের উপর প্রদত্ত কর্ম - বক্তৃতা শোনা, দিকনির্দেশনা)
INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

Assignments on Developing Listening Skills- Listening to speech, directions. (শ্রবণ দক্ষতা বিকাশের উপর প্রদত্ত কর্ম - বক্তৃতা শোনা, দিকনির্দেশনা)

Assignments on Developing Listening Skills- Listening to speech, directions. (শ্রবণ দক্ষতা বিকাশের উপর প্রদত্ত কর্ম - বক্তৃতা শোনা, দিকনির্দেশনা)

 Assignments on Developing Listening Skills- Listening to speech, directions.

(শ্রবণ দক্ষতা বিকাশের উপর প্রদত্ত কর্ম - বক্তৃতা শোনা, দিকনির্দেশনা)


Conceptual Literature: মনোযোগ সহকারে কোন কিছু শোনাকেই শ্রবণ দক্ষতা বলে। শ্রবণের মাধ্যমেই শিশু প্রথম ভাষা আয়ত্ত করতে শেখে। যে শিশুর শ্রবণ দক্ষতা যত বেশি হয় সে তত বেশি ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করতে পারে। শোনার মধ্য দিয়েই শিশু পরিবেশের বিভিন্ন বস্তুর নাম জানতে পারে, এমনকি বিদ্যালয়েও যে শিক্ষার্থীর শ্রবণ দক্ষতা বেশি সে তত ভালো বিষয়বস্তু বুঝতে পারে এবং উত্তর দানে সচেষ্ট হয়। শুধু তাই নয় শ্রবণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ভাষার সঙ্গে পরিচিত হয়, অনুকরণ করে এবং বাস্তবে তা প্রয়োগ করতে শেখে। ভালোভাবে শোনার মধ্য দিয়েই শিক্ষার্থী নির্ভুলভাবে বলতে ও লিখতে পারে। তাই প্রথমে শিক্ষার্থীর শ্রবণ দক্ষতার বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। শিক্ষার্থীর এই শ্রবন দক্ষতা বিকাশে বক্তৃতা শোনা ও নির্দেশনা বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকে। 


Objectives: এই ব্যবহারিক কর্মপ্রকল্পটির উদ্দেশ্যগুলি নিম্নরূপ-

i) শ্রবণ দক্ষতা যে শিশুর ভাষা শিখনের প্রথম ধাপ তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। 

ii) শ্রবণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ভাষার উচ্চারণশৈলীর পার্থক্য অনুভব করতে শেখানো। 

iii) শোনার অভ্যাস গঠনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীকে বিষয়ের প্রতি আগ্রহী ও মনোযোগী করে তোলা।

iv) শ্রবণ দক্ষতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আচরণের পরিবর্তন ঘটানো।

v) শ্রবণ দক্ষতার বিভিন্ন শৈলীর মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে সুবক্তায় পরিণত করা। 

vi) শ্রবণের দ্বারা ব্যক্তির অনুমান দক্ষতার বৃদ্ধি ঘটাানো।

vii) শ্রবণের মাধ্যমেই কথনের ভুল ত্রুটিকে সংশোধন করা।

viii) শ্রবণের দ্বারা শিক্ষার্থীর শব্দভাণ্ডারকে বৃদ্ধি করা। 

ix) কবিতা, গান ইত্যাদির যথার্থতা যে শ্রবণের উপরই নির্ভর করে তা শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে দেওয়া।

x) শ্রবণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর জ্ঞানের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটানো। 


Guidelines for the activity: এই প্রায়োগিক কার্যটি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে শিক্ষক মহাশয় প্রথমে আমাদের শ্রেণীকক্ষের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে শ্রবণ দক্ষতার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করলেন। আমরা জানতে পারলাম ভাষা শিখনের যে চারটি দক্ষতা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে শ্রবণ দক্ষতাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ তথ্য আমরা শ্রবণের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। অনেক সময় সব তথ্য পঠনের মাধ্যমে উপলব্ধ হয় না, সেক্ষেত্রে আমাদের শ্রবণ নির্ভর হতে হয়। তাই ভাষার দক্ষতা বিকাশে শ্রবণের গুরুত্ব অপরিসীম। এরপর তিনি আমাদের সকলকে শ্রবণ দক্ষতার বিকাশে বক্তৃতা শোনা ও নির্দেশ দানের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা বোঝালেন এবং পরবর্তী পর্যায়ে বিষয়দুটি সম্পাদনের নির্দেশ দিলেন। 


Execution: 


বক্তৃতা শ্রবণ (Listening to speech)


     বক্তৃতা হল এক ধরনের ভাষণ। শ্রোতার কাছে কোন বিষয় সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপন করাকেই বক্তৃতা বলে। ভালো বক্তৃতা দেওয়ার জন্য বক্তাকে অবশ্যই সুকথক হতে হয়। ভাল বক্তা অবশ্যই নির্ভুল উচ্চারণ করবেন, সঠিক ভাষা প্রয়োগ করবেন ও ভালো বক্তৃতা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখতে পারে এটা আশা করা যায়। তাই শিক্ষার্থীদের বক্তৃতা শুনতে আগ্রহী করে তোলা উচিত। 


বক্তব্য শ্রবণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শ্রবণ দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে নিম্নলিখিত উপায় গুলি অবলম্বন করতে হবে-


ক) প্রত্যেক শ্রোতা যাতে বক্তার বক্তব্য সুস্পষ্ট ভাবে শুনতে পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। 


খ) বক্তৃতায় ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দ ও উচ্চারণ শিক্ষার্থীরা যাতে স্পষ্টভাবে শুনতে পায় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। 


গ) বক্তৃতার বিষয়টি হবে আকর্ষণীয় ও মনোগ্রাহী যাতে আগ্রহ সহকারে শ্রোতা অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা শোনে এবং মনে রাখার চেষ্টা করে। 


ঘ) বক্তৃতার বিষয় ও ভাষার মান শিক্ষার্থীর চাহিদা ও বয়স অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে তবেই শিক্ষার্থীরা তা শুনতে আগ্রহী হবে। 


ঙ) বক্তৃতার সময় বক্তা উপযুক্ত শারীরিক ভাষা ব্যবহার করবেন এবং বক্তব্যের বিষয়কে সরস করে তোলার চেষ্টা করবেন। 


চ) বক্তৃতা উপস্থাপনের সময় বক্তা বাকচাতুর্য ও হাস্যরস সৃষ্টির চেষ্টা করবেন তাহলে শিক্ষার্থীরা তা আনন্দ সহকারে শুনবে। 


ছ) বক্তৃতা দেওয়ার সময় বক্তা উপযুক্ত কণ্ঠস্বরের ব্যবহার করবেন এবং মুদ্রাদোষগুলি পরিহার করবেন। 


    উপরে উল্লেখিত উপায়গুলি বিভিন্ন ভাবে শিক্ষার্থীদের শ্রবণ দক্ষতার বিকাশে সহায়তা করে থাকে।


নির্দেশ দান (Direction)


    নির্দেশনা বা নির্দেশ দান হল এক ধরনের সাহায্যদানের উপায়। যেখানে ব্যক্তিকে শিক্ষাগত, বৃত্তিগত ও ব্যক্তিগত সুযোগের সঠিক ব্যবহার করতে সাহায্য করা হয়। নির্দেশনা দান হল একপ্রকার সঠিক পথের সন্ধান দেওয়ার কৌশল। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এই নির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজন। কারণ, শিক্ষার্থীরা নিজের অজান্তেই অনেক সময় ভুল পথে পরিচালিত হয়। তাদের অনেক সমস্যা, ভবিষ্যৎ জীবন নিয়েও অনেক কৌতুহল থাকে তাই শিক্ষক মহাশয়কে শিক্ষার্থীদের সঠিক নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা কি করবে, কোন পথে গেলে তারা সফল হবে এ ব্যাপারে শিক্ষক মহাশয় সঠিক দিকনির্দেশ করে দেন। 


নির্দেশ দানের বিভিন্ন ক্ষেত্র



শিক্ষার্থীর শ্রবণ দক্ষতার বিকাশে নির্দেশ দানের ভূমিকা-


 নির্দেশ দান কিভাবে শিক্ষার্থীদের শ্রবণ দক্ষতার বিকাশ ঘটায় সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল: 

ক) শিক্ষার্থীদের কোন ত্রুটিমূলক আচরণ পরিবর্তনের জন্য শিক্ষক নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ শোনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে। এই যে শোনার অভ্যাস এটিও শিক্ষার্থীর শ্রবণ দক্ষতার বিকাশ ঘটায়। 


খ) শ্রেণিকক্ষে পঠন-পাঠনের সময় ভাষা শিক্ষক শিক্ষার্থীকে কিভাবে পড়তে হবে, কোথায় থামতে হবে, কণ্ঠস্বরের ব্যবহার কি রকম হবে ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশ দেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষক মহাশয়ের নির্দেশ অনুসরণ করে ফলে তাদের শ্রবণ দক্ষতার বৃদ্ধি ঘটে। 


গ) খেলাধুলা, ব্যায়াম প্রভৃতির ক্ষেত্রে নির্দেশ দান শিক্ষার্থীরা আনন্দ সহকারে শোনে ফলে তাদের শ্রবণ দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। 


ঘ) শিক্ষার্থীরা কখনো কোন সমস্যায় পরলে বা কোন সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হলে শিক্ষক মহাশয়ের কাছে আসে। শিক্ষক মহাশয় তার সমস্যার সমাধান করে তাকে সঠিক নির্দেশ দেন যা শিক্ষার্থীকে উপকৃত করে এবং তার শ্রবণ দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে। 


ঙ) শিক্ষক মহাশয় পঠন-পাঠনকালে শিক্ষার্থীদের অডিও ক্যাসেট চালিয়ে সেখানে কি বলা হচ্ছে তা শোনার নির্দেশ দেবেন এবং শিক্ষার্থীদের সেটি বলতে বলবেন। শিক্ষকের এই নির্দেশদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শ্রবণ দক্ষতা বিকশিত হয়।


Concluding Remarks: একজন ভালো শ্রোতাই সাধারণত একজন ভালো বক্তা হন। কেননা ভালো করে না শুনলে কোন কিছু ভালো করে বলা যায় না। তাই শিক্ষার্থীদের শ্রবণ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শ্রেণিকক্ষে শ্রবণ অনুশীলন প্রয়োজন। শিক্ষকের সহায়তাই পারে শিক্ষার্থীর শ্রবণ দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে। শিক্ষক মহাশয় প্রথমে শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করবেন, (এক্ষেত্রে তিনি ভাষা প্রয়োগশালা, সাউন্ড সিস্টেম, অডিও-ভিডিও ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন) এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের শ্রবণের প্রতি আগ্রহী করে তুলবেন এবং শ্রবনের জন্য আকর্ষণীয় বিষয় নির্বাচন করে উপযুক্ত বাচনভঙ্গি ও কৌশলের মাধ্যমে তা উপস্থাপন করবেন। 

    শিক্ষকের আন্তরিক প্রচেষ্টা, নির্ভুল উচ্চারণ ও বাচনভঙ্গি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শ্রবণ দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত অনুকরণপ্রিয় হয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে অনুসরণ করে। শিক্ষক যা করেন শিক্ষার্থীরাও তাই করতে এবং বলতে চেষ্টা করে। তাই একজন হবু শিক্ষক/শিক্ষিকা হিসেবে আমি মনে করি শিক্ষার্থীদের ভাষা দক্ষতা (শ্রবণ) -র উন্নয়নে শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 


কোর্স-৪ এর অপর প্রাকটিক্যামের জন্য এখানে ক্লিক করুন।

0 Comments: