~2.jpeg)
Textbook analysis for gender issues (লিঙ্গ বিষয়ক চর্চায় পাঠ্যপুস্তক বিশ্লেষণ)
Textbook analysis for gender issues
লিঙ্গ সম্পর্কিত বিষয়ে পাঠ্যপুস্তক বিশ্লেষণ
Conceptual Literature:- আধুনিক যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিখন সম্পদ হল গ্রন্থ। সাধারণ অর্থে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত গ্রন্থকে পাঠ্যপুস্তক বলা হয়। ব্যবহারিক অর্থে পাঠ্যপুস্তক হল পরিকল্পিত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য স্তর ও শ্রেণীভিত্তিক রচিত পুস্তক। সুতরাং পাঠ্যপুস্তকের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করতে গিয়ে আমরা দেখতে পাই যে পাঠ্যপুস্তকের প্রথম ও শেষ কথা হল নির্ধারিত পাঠ্যবিষয়। পাঠ্যপুস্তক একদিকে যেমন শিক্ষকের শিক্ষণকার্য, শিক্ষার্থীর শিখন কার্য সম্পাদন করে তেমনি অন্যদিকে পরীক্ষকের পরীক্ষণ কার্য সম্পাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
তবে পাঠ্যপুস্তকের এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক থাকা সত্ত্বেও এর মধ্যে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি লক্ষ্য করা যায়। যেমন আজকের দিনে সামাজিক প্রেক্ষাপটে যখন শিক্ষাক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্যের দিকটি বিশেষভাবে আলোচিত হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তার থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে চলেছে ব্যক্তি ও সমাজ। সেই প্রেক্ষাপটে পাঠ্যপুস্তক ইতিবাচক ভূমিকা পালন না করে লিঙ্গ পক্ষপাতিত্বের প্রতিফলন ঘটিয়ে বিপরীত চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। তাই স্বভাবতই পাঠ্যপুস্তক থেকে লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব বা লিঙ্গ বৈষম্যকে দূরীভূত করা দরকার। যার জন্য প্রয়োজন পাঠক্রমকে অবলম্বন করে পাঠ্যপুস্তক বিশ্লেষণ।
Objectives:- পাঠ্যপুস্তক বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য গুলি হল-
১) একটি পাঠ্যপুস্তক রচনার পর তাতে নানান ত্রুটি বিচ্যুতি লক্ষ্য করা যায়। পাঠ্যপুস্তক বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য হল এই ত্রুটি বিচ্যুতিগুলি সনাক্ত করে তা দূর করার চেষ্টা করা।
২) সরকারী প্রকাশক ছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষা স্তরে বেসরকারী উদ্যোগে পাঠ্যপুস্তক অধিক সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। একই শ্রেণীতে একই বিষয়ে বিভিন্ন লেখকের লেখা বই প্রকাশিত হয়। একাধিক বই থেকে যেকোন একটি নির্দিষ্ট বইকে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের নির্বাচন করতে হয়। এই কারণেই পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা একান্তভাবে প্রয়োজন।
৩) সামগ্রিকভাবে পাঠ্যপুস্তকের মান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাঠ্যপুস্তকের মান উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সুতরাং পাঠ্যপুস্তকের মান অক্ষুন্ন রাখার জন্য ধারাবাহিকভাবে পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা করা উচিৎ।
৪) যে সকল পাঠ্যপুস্তকে লিঙ্গ প্রসঙ্গ বা লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব নিয়ে আলোচনা করা আছে সেগুলি খুঁজে বের করাই হল পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনার অন্যতম উদ্দেশ্য।
৫) যেকোন পাঠ্যপুস্তকে কতটা লিঙ্গ সমতা বা লিঙ্গ ন্যায় সংক্রান্ত বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে এবং তা যথার্থভাবে পক্ষপাতহীন বা উপযোগী কিনা তা বিশ্লেষণ করা।
Guidelines for the activity:-
পাঠ্যপুস্তক নির্বাচন: বর্তমান B.Ed পাঠক্রমের অন্তর্গত Course-VI (Gender, School and Society) এর ব্যবহারিক কাজের একটি অন্যতম বিষয় হল পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা এবং লিঙ্গ প্রসঙ্গ ও লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব অন্বেষণ করা। আমি বি.এড. চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী হিসেবে উক্ত ব্যবহারিক কাজটি সম্পাদনের জন্য দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিষয়ক ড. মাখনচন্দ্র চৌধুরী, ড. দিনেন ভট্টাচার্য ও ড. দুলাল চন্দ্র সাঁতরা কর্তৃক বাংলা ভাষায় রচিত "জীবনবিজ্ঞান ও পরিবেশ" পুস্তকটি নির্বাচন করলাম এবং এই পুস্তকটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে লিঙ্গ প্রসঙ্গ বা লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব খোঁজার চেষ্টা করলাম।
পাঠ্যপুস্তকটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ: আমার নির্বাচিত পাঠ্যপুস্তকটিতে মোট পাঁচটি অধ্যায় রয়েছে। সেগুলি হল যথাক্রমে-
- প্রথম অধ্যায়: জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়।
- দ্বিতীয় অধ্যায়: জীবনের প্রবাহমানতা।
- তৃতীয় অধ্যায়: বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ।
- চতুর্থ অধ্যায়: অভিব্যক্তি ও অভিযোজন।
- পঞ্চম অধ্যায়: পরিবেশ, তার সম্পদ ও তাদের সংরক্ষণ।
লিপিবদ্ধকরণ : যে অধ্যায়গুলিতে লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব লিপিবদ্ধ আছে সেই অধ্যায়গুলি চিহ্নিত করা হল-
প্রথম অধ্যায়- জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়।
দ্বিতীয় অধ্যায়- জীবনের প্রবাহমানতা।
Execution:-
পাঠ্যপুস্তক বিশ্লেষণ:
1. প্রাথমিক পরিচয় বিষয়ক তথ্য-
- পাঠ্যপুস্তকের নাম- জীবনবিজ্ঞান ও পরিবেশ।
- পাঠ্যপুস্তকটির লেখকের নাম- ডঃ মাখন চৌধুরী, ডঃ দিনেন ভট্টাচার্য ও ডঃ দুলাল চন্দ্র সাঁতরা।
- পাঠ্যপুস্তকটির শ্রেণী- দশম শ্রেণী।
- পাঠ্যপুস্তকটির ভাষা- বাংলা।
- পাঠ্যপুস্তকটির বিষয়- বিজ্ঞান।
- পাঠ্যপুস্তকটির প্রকাশন- সাঁতরা পাবলিকেশন প্রা. লি.।
- পাঠ্যপুস্তকটি প্রকাশনের ঠিকানা- ১০৭/১এ, রাজা রামমোহন রায় সরণী, কলকাতা ৭০০০০৯
- পাঠ্যপুস্তকটি প্রকাশনের সময়কাল- জানুয়ারি, ২০১৭
- পাঠ্যপুস্তকটিতে মোট অধ্যায় সংখ্যা- ৫ টি।
- পাঠ্যপুস্তকটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা- ১৪০ টি।
- পাঠ্যপুস্তকটির প্রচ্ছদ- লিঙ্গ পক্ষপাতিত্বের ভিত্তিতে তৈরি নয়।
2. বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ-
পাঠ্যপুস্তকের যে এককগুলিতে লিঙ্গ প্রসঙ্গ এবং লিঙ্গ পক্ষপাতিত্বের উল্লেখ আছে সেগুলির নাম এবং বিশ্লেষণ-
প্রথম অধ্যায়- জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় : জীবজগতের নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়ে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদাহরণে রান্নার কাজে নারীকে দেখানোর মাধ্যমে লিঙ্গ বিভাজন স্পষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া নারী ও পুরুষ উভয়ের শরীরচর্চার দিকটি দেখানো হয়েছে।
দ্বিতীয় অধ্যায়- জীবনের প্রবাহমানতা : এই অধ্যায়ে মানব বিকাশের বিভিন্ন দশায় শুধুমাত্র পুরুষের বিকাশকে চিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, কোন নারীকে দেখানো হয় নি।
তৃতীয় অধ্যায়- বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ : এই অধ্যায়ে একটি পরিবারের পুত্র ও কন্যার লালন-পালন দেখানো হয়েছে, যেখানে নারী পুরুষের সমতা দেখা গেছে। এছাড়া লিঙ্গ নির্ধারণে পিতার ভূমিকাই যে প্রধান তা দেখানো হয়েছে। এই অধ্যায়টিতে কীভাবে মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয় তা বলা হয়েছে। লিঙ্গ নির্ধারণ যৌন ক্রোমোজোম পদ্ধতিতে হয়ে থাকে তা এখানে বলা হয়েছে। এছাড়া লিঙ্গ নির্ধারণে পিতার ভূমিকা উল্লেখ আছে। পুত্র ও কন্যা সন্তান সৃষ্টি হওয়ার পিছনে পিতার ভূমিকাই প্রধান। কারণ পিতার সেক্স ক্রোমোজোম X ও Y প্রকারের এবং মাতার সেক্স ক্রোমোজোম (XX) প্রকারের হয়। তাই পিতার Y গ্যামেট যখন মাতার X গ্যামেটের সঙ্গে মিলিত হয় তখন পুত্র সন্তান (XY) সৃষ্টি হয়। অতএব বলা যায় যে পুত্র ও কন্যা সন্তান সৃষ্টিতে পিতার ভূমিকাই প্রধান।
চতুর্থ অধ্যায়- অভিব্যক্তি ও অভিযোজন : এই অধ্যায়ে কোন লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব বা লিঙ্গ প্রসঙ্গ নজরে আসেনি।
পঞ্চম অধ্যায়- পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ : এই অধ্যায়ে পরিবেশ ও তার সম্পদ সংরক্ষণে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদেরও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে মহিলা বিজ্ঞানীর অবস্থান দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজে বা গবেষণাগার ক্ষেত্রে মহিলারা যে যুক্ত আছেন তা দেখানো হয়েছে। বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণেও মহিলারা যুক্ত আছেন তা চিত্রে দেখানো হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকের যে পৃষ্ঠায় লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব ও লিঙ্গ প্রসঙ্গ রয়েছে সেগুলি হল-
প্রথম অধ্যায় : পৃষ্ঠা নং- 28, 41
দ্বিতীয় অধ্যায়: পৃষ্ঠা নং- 69
তৃতীয় অধ্যায় : পৃষ্ঠা নং- 74, 87, 88
পঞ্চম অধ্যায় : পৃষ্ঠা নং- 136
3. পেশা ও লিঙ্গভিত্তিক বিভাজন- এই পাঠ্যপুস্তকটি বিশ্লেষণ করে স্পষ্টতই এই ধারণা গড়ে ওঠে যে, পেশাগত লিঙ্গ বিভাজন খুব বেশি চোখে না পড়লেও প্রথম অধ্যায়ে 'জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়' তে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদাহরণে গরম বস্তুতে হাত দিলে তৎক্ষণাৎ হাতটি গরম বস্তু থেকে সরে যায় তা বোঝাতে ঘরের রান্নার কাজে একটি নারীকে দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ রান্না করা শুধুমাত্র নারীর কাজ তা সবার দৃষ্টিগোচর করে পেশা ও লিঙ্গভিত্তিক বিভাজন স্পষ্ট করা হয়েছে।
4. ভূমিকা আরোপ- এই পাঠ্যপুস্তকটির প্রথম অধ্যায় 'জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়' তে অ্যাবডাকশন, অ্যাডাকশন ও রোটেশন বোঝাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যে শরীরচর্চার অধিকারী তা দেখানো হয়েছে।
5. মানবিক মূল্যবোধ- এই পাঠ্যপুস্তকটি বিশ্লেষণ করার সময় তৃতীয় অধ্যায় 'বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ' -এ লিঙ্গ সমতা বা লিঙ্গ পক্ষপাতিত্বের মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ বিশেষভাবে চোখে পড়েছে। একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্য দেখানোর সময় কন্যা ও পুত্র সন্তানকে পিতা মাতার সমান আদর যত্নে লালন-পালন করার বিষয়টিও দেখানো হয়েছে। ফলে মানবিক মূল্যবোধের দিকটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
6. চিত্র বিশ্লেষণ- এই পাঠ্যপুস্তকে মহিলাদের যে চিত্র দেখানো হয়েছে সেখানে মহিলাদের সক্রিয় ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। মহিলাদের পোশাক রুচিসম্মত ও আধুনিক এবং সমসাময়িক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। মহিলাদের বৈজ্ঞানিক কাজের সাথে যুক্ত থাকতেও দেখা যাচ্ছে।
7. অনুশীলনী- পাঠ্যপুস্তকটিতে সৃজনশীল কাজের প্রতি উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে প্রায় সমভাবেই কাজের বন্টন করা হয়েছে।
8. সার্বিক মূল্যায়ন- পাঠ্যপুস্তকটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণের পর দেখা গেছে যে দু-একটি ক্ষেত্র ছাড়া প্রায় প্রতিটি অধ্যায়েই নারী ও পুরুষ উভয়কেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, প্রথম অধ্যায়ে একটি ক্ষেত্রে নারীর ঘরোয়া পেশায় অধিকার দৃষ্টিগোচর করা হলেও তৃতীয় অধ্যায়ে একটি পরিবারের সদস্য দেখানোর ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার বোঝানো হয়েছে যা লিঙ্গ সমতার প্রকাশ ঘটায়। তবে দ্বিতীয় অধ্যায়ে মানব বিকাশের বিভিন্ন দশার উদাহরণে শুধুমাত্র পুরুষের চিত্র থাকায় লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব ও অসমতা লক্ষ্য করা গেছে। আবার পঞ্চম অধ্যায়ে বিভিন্ন গবেষণার কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও দেখা গেছে।
Conclusion:- সম্পূর্ণ পাঠ্যপুস্তকটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে বোঝা গেছে পুস্তকটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে গঠনমূলক মনোভাব তৈরি করবে। এছাড়া পুস্তকটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গীর ভিত্তিতে রচিত হয়েছে এবং শিক্ষার্থীর মধ্যে লিঙ্গ সম্পর্কে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধনাত্মক চিন্তাধারা সৃষ্টি করেছে।
সবশেষে বলা যায় যে, এই লিঙ্গ বৈষম্য, লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব দ্বারা ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে কোন ছাত্রছাত্রী তা সে পুরুষ শিক্ষার্থী হোক বা নারী শিক্ষার্থী কেউ যাতে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার না হয় একজন ভাবি শিক্ষক/শিক্ষিকা হিসেবে আমি অবশ্যই এব্যাপারে দৃষ্টি নিক্ষেপ করব। এই ধরনের একটি প্রকল্প পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্তিকরনের জন্য NCTE এবং BSAEU বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
0 Comments: