উপদেশমূলক শিক্ষণ-শিখন উপকরণ নির্মাণ Developing Instructional (Teaching Learning) material.
INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

উপদেশমূলক শিক্ষণ-শিখন উপকরণ নির্মাণ Developing Instructional (Teaching Learning) material.

উপদেশমূলক শিক্ষণ-শিখন উপকরণ নির্মাণ Developing Instructional (Teaching Learning) material.


Topic: Developing Instructional (Teaching Learning) material. 


INDEX

Sl.

Subject

Page no.

1.

Conceptual Literature

 

2.

Objectives

 

3.

Guidelines for the activity

 

4.

Execution

 

5.

Conclusion

 



Conceptual literature

Conceptual literature: 

    'Teaching aids can make oral presentation glow with new meaning and more Universal understanding' -শ্রেণিকক্ষে কার্যকরী শিক্ষণের নিমিত্ত শিক্ষক/শিক্ষিকাকে বেশ কিছু উপকরণ ব্যবহার করতে হয়। কারণ কেবলমাত্র চকের ব্যবহার ও মৌখিক শিক্ষণ (Chalk and Talk) শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ণরূপে প্রভাবিত করতে পারে না। শিক্ষক/শিক্ষিকার সুন্দর বাগ্মিতা তার গুণের পরিচায়ক এবং তা অবশ্যই শিক্ষণের কাজে সহায়তা করে। তবুও এক্ষেত্রে ভাষার বিমূর্ততা অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে। তাই শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুকে মূর্ত করে তুলতে শিক্ষাবিজ্ঞানে কতকগুলি নীতির অবতারণ করা হয়েছে। এই নীতিগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল 'Teach through Sences' অর্থাৎ কোন বিষয় শেখাতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ইন্দ্রিয়গুলিকে যতটা সম্ভব কাজে লাগাতে হয়। কখনও তারা কিছু কিছু বিষয় কানে শুনবে, চোখে দেখবে, মুখে বলবে, প্রয়োজনে হাত দিয়ে স্পর্শ করবে। এই নীতির উপর ভিত্তি করে শিখনের বিভিন্ন কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে যা সংস্কৃত/বাংলা ভাষা শিক্ষণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী। 

Objectives: 

    এই প্রায়োগিক কার্যটির উদ্দেশ্যগুলি হল-

ক) পাঠ্যবস্তুর মূল ভাবকে শিক্ষার্থীর মনে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করা।

খ) পাঠ্যবস্তুকে সহজবোধ্য ও আকর্ষণীয় করে তোলা।

গ) শিক্ষার্থীদের কল্পনাশক্তিকে উদ্দীপ্ত করে তোলা।

ঘ) শিক্ষার্থীদের সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করা।

ঙ) বিমূর্ত ধারণাকে মূর্ত রূপে উপস্থাপন করা। 

চ) শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি দূর করা।

Guidelines for the activity: 

    বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত এবং পাঠক্রমের অন্তর্গত এই প্রায়োগিক কার্যটি সম্পাদনের জন্য পথনির্দেশক হিসেবে শিক্ষক মহাশয়/শিক্ষিকা মহাশয়া আমাদের সমস্ত শিক্ষার্থীদের প্রথমে শিক্ষণ-শিখন উপকরণ ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিলেন। তারপর শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের জন্য তাদের পছন্দমত বিষয় নির্বাচন করলে সেই বিষয়সম্বন্ধিত সহায়ক উপকরণ নির্মাণে সহায়তা করলেন এবং সেটি শ্রেণীকক্ষে যথাসময়ে যথার্থভাবে ব্যবহার করার নির্দেশ দিলেন।

Execution: 

    শিক্ষণ-শিখন উপকরণ বলতে মূলতঃ শিক্ষামূলক প্রদীপনকে বোঝানো হয়। এই শিক্ষণ প্রদীপন বিভিন্ন প্রকারের হয়। এগুলির ব্যবহার কৌশল নিম্নে প্রদত্ত হল- 

1. দৃশ্যযোগ্য উপকরণ: 

ক) পাঠ্যপুস্তক- পাঠ্যপুস্তক একপ্রকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষামূলক সাধারণ সহায়ক উপকরণ। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত পাঠের ক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তক সর্বতোভাবে সাহায্য করে। 

খ) কৃষ্ণফলক/শ্বেতফলক- বোর্ডের ব্যবহার শ্রেণিকক্ষকে সজীব ও প্রাণবন্ত করে তোলে তাই বোর্ড হল শ্রেণিকক্ষের একটি অপরিহার্য সহায়ক উপাদান। এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অবশ্যই বোর্ডের উপযুক্ত ব্যবহার ও কৌশল জানতে হবে।

গ) চার্ট- চার্টের সাহায্যে সংস্কৃত/বাংলা ভাষার ব্যাকরণগত বিষয় (বিশেষ করে বিভিন্ন সূত্র ও উদাহরণ) প্রদর্শিত হয়ে থাকে। এছাড়া নিম্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নানান রঙবেরঙের লেখাযুক্ত চার্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। 

ঘ) প্রতিকৃতি- অনেক সময় বিশেষ কোন বস্তুর বর্ণনাকালে সেটিকে শ্রেণিকক্ষে আনা সম্ভব হয় না, তাই তার প্রতিরূপ বা মডেল শিক্ষার্থীদের সামনে রেখে বিষয়টি স্পষ্টরূপে বোঝানো হয়।

ঙ) অভিনয়- অভিনয়ও এক প্রকার শিক্ষণ প্রদীপন রূপে গণ্য হয়। অভিনয়ের মাধ্যমেও অনেক ক্ষেত্রে পাঠ্যবিষয়কে জীবন্ত করে তোলা যায়।

চ) প্রক্ষিপ্ত চিত্র- পাওয়ারপয়েন্ট এর ব্যবহারের দ্বারা প্রক্ষেপণ যন্ত্রের সাহায্যে কোন বিষয়কে স্লাইডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্মুখে উপস্থাপন করলে বিষয়টি সহজেই হৃদয়াঙ্গম করা যায়।

2. শ্রবণযোগ্য উপকরণ: বেতার, টেপ রেকর্ডার, CD, মাইক্রোফোন, গ্রামোফোন ইত্যাদি শ্রবণযোগ্য উপকরণের মধ্যে পরে।

3. শ্রবণ-দর্শনযোগ্য উপকরণ: দূরদর্শন, সংগণকযন্ত্র, DVD, LCD, সবাক চলচ্চিত্র ইত্যাদি।

4. সক্রিয়তাভিত্তিক উপকরণ: শিক্ষামূলক ভ্রমণ, অভিনয় প্রভৃতি এই ধরনের উপকরণের অন্তর্ভুক্ত। 

Conclusions:

   শিক্ষণ-শিখন উপকরণের ব্যবহার পাঠের প্রতি শিক্ষার্থীদের অনুরাগ বাড়িয়ে তোলে ও মনোযোগকে কেন্দ্রীভূত করে। এইসমস্ত উপকরণ কোনও জটিল বিমূর্ত ধারণাকে সরল ও মূর্তভাবে প্রতিস্থাপিত করার চেষ্টা করে। প্রাচীন সংস্কৃত/বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সাথে আধুনিক সংস্কৃতির সমন্বয় সাধন করতে উপর্যুপরি ভূমিকা গ্রহণ করে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ। এছাড়া শিক্ষণ-শিখন উপকরণের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা কোন বিষয়ে জ্ঞানলাভ এবং তার প্রয়োগ করতে সমর্থ হয়। এগুলি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে অনুবন্ধ সৃষ্টিতে সাহায্য করে এবং শিক্ষার্থীদের ভাষার বিকাশে সহায়ক। তাই সার্থক শিক্ষণ-শিখন উপকরণের ব্যবহার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অপরিহার্য অঙ্গরূপে বিরাজমান। 


0 Comments: