ডিজিটাল প্রযুক্তি ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট (Digital Technology and Socio-economic Context)
INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

ডিজিটাল প্রযুক্তি ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট (Digital Technology and Socio-economic Context)

ডিজিটাল প্রযুক্তি ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট (Digital Technology and Socio-economic Context)


১) ডিজিটাল টেকনোলজি কী?

উত্তর:- বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বিভিন্ন উপকরণ, পদ্ধতি, যন্ত্রপাতি এবং সম্পদ ব্যবহার করে যখন তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয় তখন তাকে ডিজিটাল টেকনোলজি বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন খেলা, মোবাইল ফোন, মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদির উল্লেখ করা যেতে পারে।


২) ICT শব্দটির ব্যবহার সর্বপ্রথম কারা কবে শুরু করেন?

উত্তর:- বিভিন্ন ক্ষেত্রে ICT -র ব্যবহার অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। তবে 1980 সালের দিকে একাডেমিক গবেষকেরা প্রথম প্রযুক্তিতে ICT শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন। সেই সময় যান্ত্রিক ব্যবস্থা অতটা উন্নতমানের না হওয়ায় এটি খুব বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে নি।  


৩) সম্পূর্ণ রূপ লিখুন: SITE, KITE, AIR, VICTERS, NMEICT

উত্তর:- SITE: Satelite Instructional Television Experiment

KITE: Kerala Infrastructure and Technology for Education 

AIR: All India Radio

VICTERS: Virtual Classroom Technology on EDUSAT for Rural School

NMEICT: National Mission on Education through Information and Communication ommunication Technology 


৪) ICT ব্যবহারের চারটি সুবিধা লিখুন। 

উত্তর:- ICT ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন-

i) মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটে।

ii) বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যক্তির সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।

iii) বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুব সহজেই অ্যাক্সেস করা যায়।

iv) স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স ও টেলি কনফারেন্সিং এর সুবিধা পাওয়া যায়।


৫) ICT ব্যবহারের চারটি অসুবিধা লিখুন।

উত্তর:- প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যবহারের অনেক সুবিধা থাকলেও এর বেশ কিছু অসুবিধাও চোখে পরে যেমন- 

i) প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যবহারের যন্ত্রপাতির খরচ ব্যয়বহুল হওয়ায় সবার পক্ষে এগুলি কেনা সম্ভব হয়ে ওঠে না। 

ii) শিক্ষার্থীরা মোবাইল ও কম্পিউটার গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে পরে। 

iii) কম্পিউটার, মোবাইল, দূরদর্শন এগুলি বেশি পরিমাণে দেখার কারণে চোখের সমস্যা হতে পারে।

iv) ইন্টারনেটের গতি মন্থর হলে কাজে ব্যাঘাত ঘটে। 


৬) ডিজিটাল ডিভাইড কী?

উত্তর:- তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা এবং ব্যবহার না করার কারণে শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং জীবনযাত্রার মানের যে পার্থক্য সৃষ্টি হয় তাকেই ডিজিটাল ডিভাইড বলা হয়।


৭) সার্বজনীন প্রবেশ বা ইউনিভার্সাল অ্যাক্সেস কী?

উত্তর:- সার্বজনীন প্রবেশ হল বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত সাশ্রয়ী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন। বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গ্রাম পর্যায়ের প্রত্যেক ব্যাক্তি যাতে ব্যক্তিগতভাবে টেলিযোগাযোগের সুবিধার পাশাপাশি অন্যান্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপাদান গুলি ব্যবহার করতে পারে তার দিকে দৃষ্টি দেওয়াই হল সার্বজনীন প্রবেশ বা ইউনিভার্সাল এক্সেস এর মূল দায়িত্ব।  


৮) বিদ্যালয়ে ICT অন্তর্ভূক্তিকরণের চারটি সমস্যা লিখুন।

উত্তর:- i) রিসোর্স সংক্রান্ত সমস্যা 

ii) শিক্ষক সংক্রান্ত সমস্যা 

iii) ভাষা ও বিষয়বস্তু সংক্রান্ত সমস্যা 

iv) অর্থায়ন সংক্রান্ত সমস্যা।


৯) IT@ School Project প্রথম কবে, কোথায় শুরু হয়েছিল?

উত্তর:- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের দ্বারা শিক্ষাজগতে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে 2001 সালে কেরালার তিরুবনন্তপুরমে এই প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। পরবর্তীকালে 2017 সালের আগস্ট মাসে এই প্রকল্পের পরিবর্তিত নাম রাখা হয় Kerala Infrastructure and Technology for Education যা বর্তমানে KITE নামে পরিচিত। 


১০) NMEICT -র চারটি উদ্দেশ্য লিখুন।

উত্তর:- i) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহায়তায় বাহ্যিক জ্ঞানকে শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের আঙিনায় পৌঁছে দেওয়া। 

ii) সকল শিক্ষার্থীর শিখন চাহিদা পূরণে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করা। 

iii) বৌদ্ধিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প সময়ে কাঙ্ক্ষিত ও যথাযথ জ্ঞানের অনুসন্ধান করা। 

iv) ICT এর মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা। 


১১) স্পোকেন টিউটোরিয়াল কী?

উত্তর:- Spoken Tutorial প্রকল্পটি ভারত সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রণালয়) তত্ত্বাবধানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দ্বারা পরিচালিত জাতীয় শিক্ষা মিশনের (NMEICT) অন্তর্গত 'Talk to teacher' কার্যকলাপের উদ্যোগ। 2010 সালে ভারত সরকারের অধীনস্থ সংস্থা IIT বোম্বের গবেষকরা এই প্রকল্পটির বাস্তবিক রূপ দান করেছিলেন।

     এই প্রকল্পটি মূলতঃ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে সহায়তা দানের জন্যই গ্রহণ করা হয়েছিল। এটি একটি ওয়েবভিত্তিক শিক্ষা যা আমাদের দেশের সমস্ত মানুষের কাছে বিনামূল্যে ওপেন সোর্স সফ্টওয়্যার (FOSS) সহ প্রযুক্তির জ্ঞান প্রেরণ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।


১২) জ্ঞানদর্শন কী?

উত্তর:- জ্ঞান দর্শন হল শিক্ষা সম্প্রচারমূলক দূরদর্শন চ্যানেল। ভারতবর্ষের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তর, প্রসার ভারতী ও ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে 2000 সালের 26শে জানুয়ারি এই টেলিভিশন চ্যানেলটির শুভ সূচনা করা হয়।


১৩) ই-জ্ঞানকোষ কী?

উত্তর:- E-Gyankosh শব্দটি তিনটি শব্দের মিলিত রূপ: E= ইলেকট্রনিক, Gyan= জ্ঞান ও kosh= ভান্ডার। e-Gyankosh হল একটি জাতীয় ডিজিটাল ভান্ডার (National Digital Repository)। এই প্রকল্পটিকে 2005 সালের অক্টোবর মাসে ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে চালু করা হয়েছিল।

     স্ব-নির্দেশনামূলক উপাদানগুলিকে ডিজিটালকরণের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়। বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষামূলক ভাণ্ডারের মধ্যে অন্যতম হল ই-জ্ঞানকোষ।


১৪) হ্যাপটিক প্রযুক্তি কী?

উত্তর:- হ্যাপটিক হল কম্পিউটারের স্পর্শ এবং অনুভূতি সংবেদন যোগ করার প্রযুক্তি। মানুষের স্পর্শেন্দ্রিয়গুলি কিভাবে ভার্চুয়াল বস্তুগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তা এর মাধ্যমে জানা সম্ভব।


১৫) ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরি কী?

উত্তর:- ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরি হল একটি ভিন্নধর্মী সমস্যাসমাধান সম্পর্কিত মাধ্যম যেখানে বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে একই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়ার উপর কাজ করে থাকে। এই ধরনের ল্যাবরেটরি কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন বিষয় প্রাসঙ্গিক পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়াকে সংঘটিত করার জন্য একটি ইন্টারেক্টিভ পরিবেশ প্রদান করে থাকে। এটি ডোমেইন নির্ভরশীল সিমুলেশন প্রোগ্রাম ও পরীক্ষামূলক ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত।

0 Comments: