মাইক্রোসফ্ট এক্সেল (MS Excel)
INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

মাইক্রোসফ্ট এক্সেল (MS Excel)

মাইক্রোসফ্ট এক্সেল (MS Excel)

 মাইক্রোসফ্ট এক্সেল 

(MS Excel)

    মাইক্রোসফ্ট এক্সেল হল microsoft-এর তৈরি করা একটি স্প্রেডশীট বিশ্লেষণী প্রোগ্রাম। এই স্প্রেডশিট প্রোগ্রামের সাহায্যে আমরা আমাদের পছন্দ মত যেকোন ধরনের তথ্যকে নিজের কাজে ব্যবহার করতে ও উপস্থাপন করতে পারি। মাইক্রোসফ্ট এক্সেল মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের যে কোন ধরনের হিসাব সম্পর্কিত কাজের জন্য এটি একটি আদর্শ সফ্টওয়্যার। এর সাহায্যে গাণিতিক, পরিসংখ্যানগত ও লজিক সহ বিভিন্ন ধরনের হিসাব সম্বন্ধিত কাজ করা যায়। মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন 1982 সালে প্রথম মাল্টিপ্ল্যান নামে স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম নিয়ে আসে। তখন MS-DO3 অপারেটিং সিস্টেমে Lotus 1-2-3 খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে মাল্টিপ্লান আসার পর থেকে এর জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। মাল্টিপ্লান সফ্টওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছিল কন্ট্রোল প্রোগ্রাম মনিটর (CP/M) সিস্টেমের জন্য, যা পরবর্তীতে কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ফর মাইক্রোকম্পিউটারস নামে পরিচিতি লাভ করে। মাল্টিপ্ল্যানের বিশাল জনপ্রিয়তার জন্য এটি নিয়ে আরও কাজ করা শুরু হয়। 1985 সালের 30শে সেপ্টেম্বর Macintosh এর জন্য মাইক্রোসফ্ট প্রথম এক্সেল সফ্টওয়্যারটি চালু করে। পরবর্তীতে 1995 সালে মাইক্রোসফ্ট অফিস স্যুট এর সঙ্গে এক্সেলকে যুক্ত করা হয়। তারপর থেকেই এক্সেল পরিচিত হয় MS-Excel নামে। 

    মাইক্রোসফ্ট এক্সেলের ফাইলকে ওয়ার্কবুক বলা হয়। ফাইলের যে অংশে কাজ করা হয় তাকে স্প্রেডশিট বলা হয়। প্রতিটি স্প্রেডশিটে 256 টি কলাম এবং 65536 টি সারি থাকে। পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, বাজেট প্রণয়ন, লাভ-ক্ষতির হিসাব ইত্যাদির ক্ষেত্রে স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


মাইক্রোসফ্ট এক্সেল এর বৈশিষ্ট্য-

মাইক্রোসফ্ট এক্সেল -এর যে সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ্য করা যায় সেগুলি হল-

  1. চার্ট- বিভিন্ন ধরনের স্প্রেডশিটে চার্ট যুক্ত করার কোন নির্দিষ্ট মাধ্যম বা পদ্ধতি থাকে না। তবে এক্সেলে সেটি রয়েছে। এখানে হিস্টোগ্রাম, পলিগন, বারগ্রাফ, পাই চার্ট এর মত বহু চার্ট রয়েছে যা ব্যবহারকারীরা তাদের নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে।
  2. সূত্র- এক্সেল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল গাণিতিক সমাধানে সূত্রের ব্যবহার প্রদান করার জন্য। এখানে বিভিন্ন গাণিতিক সূত্র রয়েছে যার সাহায্যে ব্যবহারকারীরা যেকোন ধরনের গাণিতিক সমাধান সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে করতে পারে।সেল- এক্সেলে চারকোনা বক্সগুলিই হল সেল। সেলের মাধ্যমে অনেকগুলি সংখ্যাকে একসঙ্গে সিলেক্ট করে ড্রাগ পদ্ধতির মাধ্যমে যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ইত্যাদি করা যায়। তবে তার পদ্ধতি জানা প্রয়োজন। 
  3. মূল্য- কম্পিউটারে যখন কোন সংখ্যা টাইপ করা হয় তখন তার মূল্যটি সরাসরি সেলে চলে আসে। তার জন্য ব্যবহারকারীকে আলাদা করে মূল্যগুলি একে একে সেলে যুক্ত করতে হয় না। যার ফলে কোন গাণিতিক সমাধানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকখানি কমে যায়।
  4. বাস্তব সময়ে আপডেট- যদি কোন সময় একটি স্প্রেডশিট থেকে অন্য স্প্রেডশিটে ডাটা নিয়ে যেতে হয় বা ডাটার মধ্যে কোন পরিবর্তন করতে হয় তাহলে তৎক্ষণাৎ তা আপডেট হয়ে যায়।
  5. স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্গণনা- কোন কাজ করার সময় যদি কোন সংখ্যার পরিবর্তন করা হয় তাহলে তার ফলাফলটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্গণনার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে যায়। যার ফলে ব্যবহারকারীকে আলাদা করে সেটিকে গণনা করার প্রয়োজন হয় না।
  6. ডাটা বিন্যাস- এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার ইচ্ছামত ডাটা বিন্যাস করতে পারে। যেমন কোন (04/01/89) তারিখকে সে নিজের পছন্দমত 4th Jan 89 লিখতে পারে। আবার কখনও % চিহ্ন বা অন্য কোন চিহ্নের ব্যবহারের প্রয়োজন আছে কিনা তা বুঝে সেই চিহ্নগুলি যুক্ত করতে পারে। 

মাইক্রোসফ্ট এক্সেল ব্যবহারের সুবিধা-

  • কোন হিসাব সংক্রান্ত কাজ ও ডাটাবেস রেকর্ড সাজিয়ে তার মধ্যে হিসাব নিকাশের কাজ করার জন্য এটি একদম উপযুক্ত।
  • এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও রেকর্ড অনলাইনে আদান-প্রদান করা সম্ভব।
  • এই উইন্ডোটি মাইক্রোসফ্ট অফিসের অন্যান্য সফ্টওয়্যারের মতো হওয়ায় এটি বেশ সহজবোধ্য ও পরিচালনযোগ্য।
  • এক্সেল ওয়ার্কশিটের তথ্য যেমন অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনে প্রদান করা যায় তেমনি অন্য অ্যাপ্লিকেশন থেকে তথ্য এখানে সংযোজন করা যায়।
  • ফিন্যান্সিয়াল একাউন্টিং এর সমস্ত রকম কাজ করতে এটি বাণিজ্যিক সংস্থায় ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়।
  • এটি DBMS এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টভাবে কাজ করতে সক্ষম।
  • তথ্যে বিভিন্ন রং, ফন্ট, সাইজ ইত্যাদি ব্যবহার করে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।
  • তথ্যে বিভিন্ন চার্ট, টেবিল প্রদানের মাধ্যমে তথ্যকে যুক্তিসম্পন্ন ও সকলের দৃষ্টিগোচরে নিয়ে আসা যায়।
  • এখানে একের বেশি Sheet এ কাজ করা সম্ভব। 
  • যে কোন গাণিতিক সমস্যার নির্ভুল সমাধান এর মাধ্যমে সম্ভব। 
  • তথ্যের আকার বড় হলে সেটিকে নজরে নিয়ে আসার জন্য সেলকে সহজেই বড় করে তোলা যায়।
  • প্রয়োজন হিসেবে কলাম ও সেল ডিলিট করা যায় আবার অতিরিক্ত কলাম ও সেল সংযোজন করা যায়।

0 Comments: