সামাজিক যোগসূত্র (Social Networking)
INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

সামাজিক যোগসূত্র (Social Networking)

সামাজিক যোগসূত্র (Social Networking)

 সামাজিক যোগসূত্র 

(Social Networking)

    সামাজিক যোগাযোগসূত্র বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং হল এমন একটি বিষয় যেখানে একজন ব্যক্তি বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অপর ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন বিভিন্ন ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করতে পারে তেমনি বিভিন্ন রকম তথ্যও আদান-প্রদান করতে পারে। সামাজিক যোগসূত্র মাধ্যমগুলি সামাজিক উদ্দেশ্য পূরণের পাশাপাশি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যও পূরণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোনরূপ অর্থ খরচ করতে হয় না, কেবলমাত্র ইন্টারনেট থাকা প্রয়োজন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রতিটি ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পরিবার, সহপাঠী, গ্রাহক ও ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ সাধন করতে পারে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সারা বিশ্বের কাছে আজ বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। এখন ব্যক্তিদের মধ্যে এটি দূরত্ব অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছে। আজ এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের ব্যক্তির সঙ্গে চ্যাটিং, ভিডিও কলিং ইত্যাদির মাধ্যমে আলাপচারিতা করতে পারছে এবং বিভিন্ন ছবি, ভিডিও, অডিও ও নানান রকম তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছে এর সৌজন্যে। এগুলির অধিক ব্যবহারের ফলে আপামর বিশ্ববাসী ওতপ্রোতভাবে এর সাথে জড়িয়ে পরেছে।

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর পরিচয়:-

1971 সালে ই-মেইল চালু হওয়ার পর থেকেই প্রথমবারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের পথচলা শুরু হয়েছিল।

 1978 সালে বুলেটিন বোর্ড পরিষেবার (BBS) মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল।

 1979 সালে প্রথম ওয়েব ব্রাউজার Usenet এর মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান শুরু হয়েছিল।

 1988 সালে ইন্সট্যান্ট মেসেজিং চালু হয় তবে এটি ইউনিক্সভিত্তিক ছিল। যা সর্বসাধারণের ব্যবহারযোগ্য ছিল না।

 1994 সালে তৈরি হয় Geo Cities নামক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। এটি ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করার অনুমতি দিয়েছিল।

 1995 সালে তৈরি হয়েছিল The Globe.com নামক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট।

 1997 সালে তৈরি হয় এবং Six Degrees.com নামক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পরিষেবা।

 1999 সালে চালু হয় Asian Avenue এবং Black Planet নামক সাইট দুটি।

2000 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল MiGente.com।

বর্তমানে প্রচলিত কয়েকটি জনপ্রিয় আধুনিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট:- 

  • 2002 সালে প্রথম আধুনিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং হিসেবে Friendster এর জন্ম হয়। 
  • এর কিছুদিন পরেই 2003 সালে চালু হয়েছিল MySpace নামক ওয়েবসাইটটি। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
  • সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর জগতে অপর একটি মাইলফলক হল LinkedIn। এটি 2003 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
  • 2004 সালে প্রবল জনপ্রিয়তা নিয়ে অর্কুট এবং ফেসবুক প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
  •  এরপর 2005 সালে প্রতিষ্ঠিত হয় Yahoo!360
  •  2006 সালে টুইটারের জন্ম হয়।
  •  2010 সালে ইন্সটাগ্রাম চালু হয়েছিল। 
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর বৈশিষ্ট্যাবলী-
১) এটি ব্যবহারকারীদের সহজ user interface প্রদান করে থাকে।
২) বিশেষভাবে অনুসন্ধান করার কার্যকারিতাকে বৃদ্ধি করে থাকে।
৩) শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করে থাকে।
৪) ছবি, অডিও এবং ভিডিও ফাইল আপলোড করার অনুমতি দেয়।
৫) এখানে বিনামূল্যে ওয়েব স্পেস প্রদান করা হয়ে থাকে।
৬) বিভিন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যের আদান-প্রদান হয়ে থাকে।
৭) চ্যাট রুম, ডিসকাশন ফোরাম ইত্যাদি পরিষেবা প্রদান করে থাকে।
৮) ব্যবহারকারীদের ব্লগে লেখার অনুমতি প্রদান করা হয়।
৯) বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরনের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করে। 

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর সুবিধা:- 
i) খুব দ্রুত গতিতে সংযোগ স্থাপন হওয়ার জন্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমগুলি সংবাদ পরিবেশনের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
ii) বিভিন্ন ধরনের তথ্য সরাসরি অন্য একজন ব্যক্তিকে তৎক্ষণাৎ পাঠানো যায় এর মাধ্যমে।
iii) বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য ও জিনিসপত্রের বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসেবে এটিকে ব্যবহার করতে পারে।
iv) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যক্তি তার পছন্দ ও অপছন্দের ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট করতে পারে আবার যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে পারে।
v) একটি বিশ্বব্যাপী সংযোগ স্থাপনের সুবিধা দেয়।
vi) এর মাধ্যমে একজন অন্যজনের সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে এবং নতুন নতুন ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করতে সাহায্য করে।
vii) এখানে অডিও, ভিডিও ইত্যাদি দ্বারা তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
viii) ভিডিও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে সামনাসামনি কথাবার্তা হয়।
ix) যে কোন ব্যক্তি তার নিজের ওয়েবসাইট, ব্লগ, গ্রুপ ইত্যাদি অন্যদের কাছে তুলে ধরতে পারে।
x) যেকোন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলিকে যে কেউ বিনা খরচে ব্যবহার করতে পারে। 

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর অসুবিধা:- 
i) ব্যবহারকারী ব্যক্তির মনের মধ্যে মাঝে মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।
ii) সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই সাইবারক্রাইম করার সুযোগ থাকে।
iii) কোন কারণে প্রোফাইল হ্যাক হয়ে গেলে নিজস্ব গোপনীয়তা রক্ষা করা যায় না।
iv) অনেক সময় ভুল তথ্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
v) ব্যক্তিদের মধ্যে বিশেষ করে যুবকদের মধ্যে সাইটগুলিকে ব্যবহার করার আসক্তি বাড়িয়ে তোলে।
vi) বাস্তবিক জগতের সংযোগ অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
vii) অনেক বেশি সময় ধরে এই সাইটগুলি ব্যবহার করলে দৈহিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।
 viii) এখানে জালিয়াতি ও প্রতারণার ঝুঁকি থাকে।

Major social networking tools:

Facebook: বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের মধ্যে একটি হল ফেসবুক। এটি একটি ওয়েবসাইট যা 2004 খ্রিস্টাব্দে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন।

এতে বিনা খরচে সদস্য হওয়া যায়। ফেসবুক ইউজার বা ব্যবহারকারী বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান-প্রদান করতে পারেন, সেইসঙ্গে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চলভিত্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।


Instagram: ইনস্টাগ্রাম হল একটি অনলাইন মোবাইল ফটো শেয়ারিং, ভিডিও শেয়ারিং এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিষেবা। যেটি ব্যবহারকারীদের ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করার অনুমতি প্রদান করে থাকে।


ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি এবং 15 সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ভিডিও আপলোড করা যায়। এই পরিসেবাটিকে 2010 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। কেভিন সীসট্রোম এবং মাইক ক্রিয়েগার হলেন ইন্সটাগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে এই সাইটটিকে প্রায় পঁচিশটি ভাষায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


LinkedIn: LinkedIn সামাজিক যোগাযোগের একটি ওয়েবসাইট যা বিশেষত পেশাজীবীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। এই সাইটটি প্রধানত পেশাদারী নেটওয়ার্কিং তৈরি করার উদ্দেশ্য নিয়ে স্থাপন করা হয়েছিল। বিভিন্ন পেশার মানুষদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা ও নবাগতদের যোগ্যতা অনুযায়ী অন্বেষণের ক্ষেত্রে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।


2002 সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু 2003 সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সাইটটিকে চালু করা হয়। রিড হফম্যান, জ্যা-লুক ভাইল্যান্ত লিংকডইন প্রতিষ্ঠা করেন। লিংকডইনের প্রোগ্রামিং কোডটি জাভাতে লেখা। বর্তমানে এই সাইটটিকে বিশ্বের প্রায় কুড়িটি ভাষায় ব্যবহার করা হচ্ছে। 


Pinterest: Pinterest হল একটি ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কোম্পানি। যা একটি ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইট হিসেবে কাজ করে থাকে। এটি ব্যবহারের জন্য নিবন্ধন করার প্রয়োজন হয়। এই সাইটটি 2010 সালের মার্চ মাসে পল শিয়ারা, ইভান শার্প এবং বেন সিলবারমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। এটি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র দলের অর্থায়নে কোল্ড ব্রিউ ল্যাবস কর্তৃক পরিচালিত হয়।


এই সাইটটি বিশ্বব্যাপী নারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিল। 2012 সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের মধ্যে শতকরা 83 শতাংশ ছিল নারী। বর্তমানে এই সাইটটিকে প্রায় 22 টি ভাষায় ব্যবহার করা হচ্ছে। 


Twitter: টুইটার হল একটি বহুল প্রচলিত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। ফেসবুকের মতোই টুইটারে একটি একাউন্ট খোলার পর তাতে স্ট্যাটাস আপডেট করা, ওয়ালে পোস্ট করা বা কারও ওয়ালে কমেন্ট ইত্যাদি করা যায়। ফেসবুকের মত টুইটারে ফ্রি সাইন আপ করা যায়। তবে ফেসবুকের সঙ্গে এর কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে যেমন ফেসবুকে যেটাকে বলা হয় স্ট্যাটাস আপডেট টুইটারে সেটিকে বলা হয় টুইট। ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো যায় কিন্তু টুইটারে ফলো করা যায়। যে কোনো বিষয় সম্পর্কে মাত্র 140 ক্যারেক্টারের পোস্ট করা যায়। ছবি এবং নিজস্ব আইডিয়াও এখানে শেয়ার করা যায়। 

2006 সালের মার্চ মাসের টুইটার এর যাত্রা শুরু হয় কিন্তু 2006 সালের জুলাই মাসে জ্যাক ডর্সি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। জ্যাক ডর্সি ছাড়াও ইভান উইলিয়ামস নোয়া গ্লাস ও বিজ স্টোন হলেন টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা। টুইটারের মূল কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে অবস্থিত। বর্তমানে টুইটার সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। 

2022 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট:

1. Facebook: 2.91billion users (per month)
2. Instagram: 1 billion users (per month)
3. LinkedIn: 830 million users (per month)
4. Pinterest: 433 million users (per month)
5. Twitter: 396.5 million users (per month) 


সামাজিক যোগাযোগের একটি মুখ্য সাধনী যা শিক্ষার উদ্দেশ্যে যথাযথ ব্যবহৃত হয়:-

1. Facebook groups: শ্রেণীশিক্ষণে ফেসবুকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা নিশ্চিত করে তাদের সকলকে নিয়ে একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করা যায়। এক্ষেত্রে গ্রুপের গোপনীয়তা বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের নানা রকম তথ্য, বিভিন্ন কোর্সের নাম ইত্যাদি শেয়ার করা যায়। শ্রেণীশিক্ষণে এটি একটি ভালো বিকল্প। 


2. Documenting: তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনের বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় পাবলিশ, শেয়ার এবং রেকর্ড করতে পারে। তারা বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় অথবা বাড়ি থেকে একে অপরের সাথে এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। তারা ফেসবুকের মাধ্যমে শিক্ষাগত উদ্দেশ্যগুলি পুরণ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় কোন প্রতিষ্ঠানে যদি কখনো কোন ভ্রমণ বা পিকনিকের আয়োজন করা হয় তাহলে শিক্ষক সেই স্থানের বিভিন্ন ছবি, ভিডিও এবং সেই স্থান সম্পর্কিত তথ্য ফেসবুকের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের জানাতে পারেন এবং এই তথ্য গুলি বিভিন্ন সাইটে শেয়ার করতে পারেন। 


3. Facebook Live: বর্তমানে ফেসবুক লাইভ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাগত উদ্দেশ্যের জন্য একটি অন্যতম ডিজিটাল পদ্ধতি হিসেবে প্রমাণিত। ছাত্রছাত্রীরা শ্রেণীকক্ষে ভিডিও স্ক্রিমিং করতে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারে এবং পরবর্তীতে এটি তারা পোস্ট এবং অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারে। এই মাধ্যমটি শুধুমাত্র তাদের শিখনের জন্যই নয় শিক্ষার্থীরা পরবর্তীকালে তাদের রেফারেন্স হিসাবেও ব্যবহার করতে পারে। কোন কঠিন অধ্যায় শিক্ষার্থীরা রেকর্ড করতে পারে এবং সেগুলি পরে তারা নিজেদের প্রয়োজনে অধ্যয়ন করতে ও শেখাতে পারে। 


4. Facebook Pools: ফেসবুক পোলিং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে। একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা বিতর্কের পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের মতামত গ্রহণ এবং মত বিনিময় করতে পারে। ফেসবুক লিমিং -এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীদের জন্য পোল তৈরি করতে পারে। যাতে তারা সাধারণত দৈনন্দিন জিনিস বা শ্রেণিকক্ষ উপকরণ সম্পর্কেও মতামত গ্রহণ এবং প্রদান করতে পারে।


5. Digital Citizenship: শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে ফেসবুকের ব্যবহার শিক্ষার্থীদের অনলাইনে যোগাযোগ করতে এবং কথা বলতে উৎসাহিত করে। এব্যাপারে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশ করে থাকেন। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা কন্টেন্ট তৈরি করতে শেখে, সেই উপাদান অনলাইনে শেয়ার করতে পারে। ডিজিটাল সিটিজেনশিপ শিক্ষার্থীদের ভূয়ো তথ্য সনাক্ত, বিশ্লেষণ ও পার্থক্য তৈরি করতে শেখায়। এখানে বিষয়বস্তুসমূহ বাস্তব থেকে অনলাইনে চালনা করা হয়। 


6. News Feeds: শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে নিউজ ওয়েবকাস্ট তৈরি করতে পারে, যা শিক্ষার্থীদের কাছে ফেসবুকের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ একটি বিষয়। তারা ফেসবুকের পেজে বন্ধুবান্ধব, সহপাঠীদের সাথে নিউজ শেয়ার করতে পারে। যেমন- ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ক্লিপস, লোকাল নিউজ, পছন্দের গল্প, ব্রেকিং নিউজ ইত্যাদি। এছাড়া একাডেমিকস, ফ্যাশন, স্পোর্টস, আন্তর্বিদ্যালয় প্রতিযোগিতা ইত্যাদি বিবিধ বিষয় শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে শেয়ার করতে পারে। 


7. Challenge your mind: কাজের জগতে নামিদামি কোম্পানি নতুন প্রতিভা অন্বেষণ করার জন্য বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, ওয়েব চ্যালেঞ্জ, ক্যুইজ ইত্যাদির আয়োজন করে। এই ব্যাপারে ফেসবুক লার্নিং শিক্ষার্থীদের কাছে উপযুক্ত একটি মাধ্যম। এই ধরণের চ্যালেঞ্জ শিক্ষার্থীদের জন্য বিজনেস এবং মাইন্ড বেন্ডার ব্যক্তিত্ব অধ্যায়ন (Case Study) অফার করে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এবিষয়ে আবেদন করতে পারে এবং তাদের দক্ষতাকে এখানে প্রদর্শন করতে পারে।


8. Post events: শিক্ষাক্ষেত্রে ফেসবুকের কার্যকারিতা সীমিত নয়। এটি পুস্তকীয় জ্ঞানের পাশাপাশি বাহ্যিক জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে। ফেসবুক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের এন্টারটেইনমেন্টের সুযোগ করে দেয়। 


9. Make global connections: ফেসবুক কেবলমাত্র কোন নির্দিষ্ট শহর বা দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বিশ্বব্যাপী এটি বিস্তৃত রয়েছে। বিশ্বের যেকোন প্রান্তের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন বিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে সাধারণ এবং সুচিন্তিত মতামত পেতে পারে। 


10. Book/Journal reviews: বই এবং শিক্ষামূলক ম্যাগাজিন প্রতিটি শিশুর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে আমরা উন্নত মানের পুস্তক, জার্নাল ও ম্যাগাজিন অন্বেষণ করি। ফেসবুক এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করে। ফেসবুকে যেকোন পুস্তক, জার্নাল বা ম্যাগাজিনের রিভিউ দেখে আমরা বুঝতে পারি তার উপযোগিতা কতখানি।


5 নম্বরের প্রশ্নের উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন

0 Comments: