ভাষার কার্যাবলী (Functions of Language)
INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

ভাষার কার্যাবলী (Functions of Language)

ভাষার কার্যাবলী (Functions of Language)

 

    

    মানবজাতির সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ এবং অমূল্য সম্পদ হল ভাষা। ভাষা যেহেতু মানুষের পারস্পরিক কথোপকথনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার তাই ভাষার কার্যাবলী বহুমুখী। কয়েকটি মাত্র বাক্যের মধ্য দিয়ে ভাষার কার্যাবলী বর্ণনা করা মোটেই সহজসাধ্য নয়। উদ্দেশ্য, প্রয়োজন ও চাহিদার ভিত্তিতে এবং ব্যবহারের নিরীখে ভাষার কাজকে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ভাবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। সাধারণভাবে ভাষার প্রধান কয়েকটি কাজ নিম্নে উল্লেখ করা হল-


১) ভাষার প্রধান কাজ হল কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ স্থাপন করা। 


২) ভাষা বার্তা বহন ও বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে কোন না কোন উদ্দেশ্য পূরণ করে। 


৩) ভাষার দ্বারাই সংস্কৃতির সম্প্রসারণ ও সমন্বয় ঘটে অর্থাৎ ভাষার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি ধীরে ধীরে কোন বিশেষ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক জীবনে প্রবেশ করতে পারে। 


৪) ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যেমন সত্যকে মিথ্যা বা মিথ্যাকে সত্য কথায় রূপান্তরিত করার মাধ্যমে। 


৫) ভাষার মধ্য দিয়ে মানুষ আনন্দ, দুঃখ, রাগ, আবেগ, ভালোলাগা ইত্যাদি প্রকাশ করতে পারে। 


৬) ভাষার সাহায্যে কারও বক্তব্য শুনে তার পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা গড়ে তুলতে পারা যায়। 


৭) ভাষার মাধ্যমে বংশানুক্রমিক ঐতিহ্যও রক্ষিত হয়। 


৮) কোন ব্যক্তি ভাষা ব্যবহারের মধ্য দিয়ে যেমন ব্যক্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারে তেমনি অপর ব্যক্তিকেও মুগ্ধ করতে পারে। 


৯) ভাষা মানুষের পরিচয় বহন করে অর্থাৎ সে কোন্ দেশ, সমাজ বা সমাজের কোন্ বিশেষ শ্রেণীর প্রতিনিধি সেটা তার ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে বুঝতে পারা যায়। 


১০) ভাষা ব্যবহার করে মানুষ তার প্রয়োজনীয় জিনিস, গুরুত্বপূর্ণ কাজ, সমস্যার সমাধান ইত্যাদির চাহিদা পূরণ করতে পারে। 


    ১৯৭৫ সালে ব্রিটিশ ভাষাবিদ মিচেল হ্যালিডে (Michael Halliday) ভাষা ব্যবহারের উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে ভাষার সাতটি কার্যাবলী (Seven functions of Language) প্রকাশ করেন, যেখানে শিশুরা কীভাবে ভাষা ব্যবহার করবে তার বর্ণনা রয়েছে। তিনি ভাষার এই কার্যাবলীকে উন্নয়নমূলক কার্যাবলী (Developmental function) বা সূক্ষ্ম কার্যাবলী (Micro function) হিসাবে উল্লেখ করেছেন। ভাষার এই কাজগুলি নিম্নরূপ-


i) Instrumental- কোন প্রয়োজন মেটাতে যখন ভাষা ব্যবহার করা হয়।


ii) Regulatory- অন্যের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে যখন ভাষা ব্যবহার করা হয়।


iii) Interactive- এক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ভাষার ব্যবহার করা হয়।


iv) Personal- ব্যক্তি তার নিজস্ব পরিচয়, মতামত, অনুভূতি ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করে।


v) Heuristic- জিজ্ঞাসার মধ্য দিয়ে যখন আবিষ্কারমূলক কাজ সম্পন্ন করা হয়।


vi) Representational/Informative- এক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে তথ্যের বিনিময়কে বর্ণনা করে।


vii) Imaginative- যখন কোন কল্পনাকে ভাষার দ্বারা প্রকাশ করা হয়।


পাঠক্রমের বিস্তারে ভাষার ভূমিকা জানতে এখানে ক্লিক করুন।


0 Comments: