google.com, pub-5145004260852618, DIRECT, f08c47fec0942fa0 আদর্শ ভাষা (Standard Language)
INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News


    আদর্শ ভাষা বলতে কোন বিশেষ উপভাষার পরিশীলিত রূপকে বোঝায়, যেটি অধিক সংখ্যক শিক্ষিত ও সভ্য মানুষ নির্দিষ্ট কিছু প্রয়োজন পূরণের জন্য ব্যবহার করে থাকে। বহু মানুষের একই রকম প্রয়োজন ও একই রকম চিন্তাধারা থেকে আদর্শ ভাষার জন্ম হয়। 


ভাষাবিদদের মতে- "কোন একটি নির্দিষ্ট উপভাষা দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে সেটি যখন অধিকাংশ মানুষের দ্বারা স্বীকৃতি লাভ করে তখন ভাষাটি আদর্শ ভাষার মর্যাদা পায়।"


ভাষাবিদ R.L.Trask বলেছেন- "A Standard Language is a rather special dialect of some language, one which has been codified and elaborated for use in wide variety of domains."


    কোন দেশ বা শহরের অথবা রাজধানীতে বসবাসকারী শিক্ষিত, ভদ্র ও সভ্য মানুষ যে ভাষায় কথা বলেন সেটাকেই আদর্শ ভাষা বলা হয়। অর্থাৎ রাজধানীতে বসবাসকারী সভ্য ও শিক্ষিত মানুষের মার্জিত ভাষাই হল আদর্শ ভাষা।


আদর্শ ভাষার বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Standard Language)-


ক) আদর্শ ভাষা মূলত ভদ্র ও সভ্য সমাজের ভাষা। 

খ) আদর্শ ভাষা যে কোন ভাষার মার্জিত ও পরিশীলিত রূপ। 

গ) আদর্শ ভাষায় যে কোন দেশের সরকারি কাজকর্ম পরিচালিত হয়। 

ঘ) আদর্শ ভাষায় মৌখিক রূপের পাশাপাশি লিখিত রূপও বিদ্যমান। 

ঙ) ভাষার সৌন্দর্য ও গুণগত মান বা বিশ্বে ভাষার স্থান নির্ণয় মূলত ভাষার আদর্শ রূপের নিরিখেই হয়ে থাকে। 

চ) আদর্শ ভাষার সঙ্গে শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য যোগ রয়েছে, তাই শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে আদর্শ ভাষাকেই বেছে নেওয়া হয়।


আদর্শ ভাষার গুরুত্ব (Importance of Standard Language)-


১) আদর্শ ভাষা যেহেতু যে কোন ভাষার মার্জিত ও পরিশীলিত রূপ, তাই আদর্শ ভাষার ব্যবহার ব্যক্তির রুচিবোধ ও সৌন্দর্যশীলতার পরিচয় বহন করে। 

২) ব্যক্তির সামাজিক সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করে আদর্শ ভাষা, কারণ এর ব্যবহার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়ক। 

৩) যে সমাজে আদর্শ ভাষা ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা বেশি সেই সমাজ উন্নত সমাজরূপে পরিগণিত হয়। তাই বলা যায় আদর্শ ভাষা জাতি ও সমাজের গুরুত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক।

৪) সকল প্রকার সরকারি কাজকর্ম, আইন, আদালত, চিকিৎসা সমস্ত ক্ষেত্রে আদর্শ ভাষা ব্যবহৃত হয়।

৫) পাঠ্যপুস্তক রচনার অন্যতম মাধ্যম হল আদর্শ ভাষা। 


0 Comments: