
BSAEU, SEM-I, COURSE-IV, পাঠক্রমে ভাষার বিস্তৃতি: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (Language across the Curriculum: Short question and answer)
১) ভাষা কী?
উত্তর- ভাষা হল মানুষের বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি সমষ্টি, যে ধ্বনি সমষ্টির একটি অর্থ আছে এবং সেই অর্থময় ধ্বনি সমষ্টি একটি বিশেষ জনসমাজে গৃহীত হয়, তাদের বোধগম্য হয় এবং সেই অর্থময় শব্দ বা পদসমষ্টির সাহায্যে যখন একটি ভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশিত হতে পারে এবং বাক্য গঠনে সমর্থ হয় তখন তাকে ভাষা বলা হয়।
ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে- "মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনির দ্বারা নিষ্পন্ন কোনও বিশেষ জনসমাজে ব্যবহৃত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত তথা বাক্যে প্রযুক্ত শব্দ সমষ্টিকে ভাষা বলে।"
২) ভাষা সম্প্রদায় বলতে কী বোঝায়?
উত্তর- স্থান কাল ভেদে ভাষায় অবিরাম পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। তাই কোন অঞ্চলে ব্যবহৃত কোন বিশেষ ভাষার ক্ষেত্রেও কিছু বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। এই বৈচিত্র্য সাধারনত ধ্বনিগত ও শব্দগত। কখনো কখনো আবার একই ভাষা ব্যবহারকারীদের মধ্যেও ভাষার সহজবোধ্যতা বজায় থাকে না। সামান্য কিছু পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও এই ধ্বনিসমষ্টি ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীকে ভাষা সম্প্রদায় বলা হয়।
৩) চমস্কির লেখা দুটি বইয়ের নাম লিখুন।
উত্তর- প্রখ্যাত ভাষাবিদ নোয়াম চমস্কি আজ অবধি প্রায় ১০০ টিরও বেশি বই লিখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হল-
I) Syntactic Structure (1957)
ii) Language and mind (1968)
iii) On the Power and Ideology (1987)
iv) On Nature and Language (2001)
৪) ভাষাতাত্ত্বিক গবেষণায় চমস্কির দুটি অবদান উল্লেখ করুন।
উত্তর- ভাষাতাত্ত্বিক গবেষণায় নোয়াম চমস্কির উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। চমস্কির দৃষ্টিতে ভাষা যেমন সৃজনশীল প্রক্রিয়া, ব্যাকরণও তেমনি তার সৃজনশীল উদঘাটন। ব্যাকরণ হল বিশ্লেষণ ও বর্ণনা, কিন্তু তা কোন যান্ত্রিক বিধান নয়। ব্যাকরণ আলোচনায় তিনি দুটি প্রধান তত্ত্বের উল্লেখ করেছেন-
i) বাক্য গঠন তত্ত্ব (Sentence formation theory)এবং
ii) সার্বজনীন/বিশ্বজনীনতার তত্ব (Universal theory)।
৫) কাঠামোগত ভাষাতত্ত্বের জনক কাকে বলা হয়?
উত্তর- ভাষাবিজ্ঞানী Ferdinand de Saussure ফার্দিনান্দ দে সাস্যুর প্রথম বলেন যে ভাষার খন্ড খন্ড উপাদান মিলে যে অখণ্ড রূপটি সৃষ্টি হয় সেই অখণ্ড রূপেই ভাষার সামগ্রিক তাৎপর্য রয়েছে। তাঁর প্রবর্তিত ভাষাবিজ্ঞানকে অখণ্ড ভাষাবিজ্ঞান বলা হয়। এই অখণ্ড ভাষা দৃষ্টির প্রতিষ্ঠাই সাস্যুরের মৌলিকতম অবদান। এই মতবাদের উপর ভিত্তি করেই ভাষা সম্পর্কে অখণ্ড গঠনবাদী মতবাদ গড়ে ওঠে। সাস্যুর ভাষার অর্থের দিকটি বাদ দিয়ে শুধু তার বহিরঙ্গ (Structure) গঠনের দিকটির উপর জোর দেন। তাই সাস্যুরকে কাঠামোগত ভাষাতত্ত্বের জনক বলা হয়।
৬) বহুভাষাবাদ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর- কোন ব্যক্তির দুই এর অধিক ভাষায় বিশুদ্ধ ও অবিমিশ্রভাবে কথা বলতে পারা, বুঝতে পারা ও প্রতিক্রিয়া করতে পারার দক্ষতাকে বহুভাষাবাদ বা Multilingualism বলা হয়। ভারতবর্ষ, আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের কয়েকটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই বহুভাষাতত্ব প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
Hossen Tavakoli-র মতে-
“Multilingualism is the use of three or more language by an individual or within a speech community.”
৭) পাঠক্রমে ভাষার বিস্তৃতি বলতে কী বোঝেন?
উত্তর- পাঠক্রমের প্রধান উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ। শিক্ষার্থীর মানসিক, দৈহিক, প্রাক্ষোভিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশের পাশাপাশি সংস্কৃতি, চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতার বিকাশের জন্য সাবলীলভাবে ভাষার ব্যবহার ও প্রয়োগ করার দক্ষতা শিক্ষার্থীকে অর্জন করতে হবে। ভাষা শিক্ষার মধ্য দিয়েই শিক্ষার্থীর অন্তরের সকল প্রকার সত্তাগুলি বিকাশিত হবে। সেই কারণে পাঠক্রমে ভাষার ভূমিকা অপরিসীম।
৮) গৃহভাষা ও বিদ্যালয় ভাষা কী?
উত্তর- শিক্ষা, পরিবেশ, সংস্কৃতি ও বংশগত ঐতিহ্যের তারতম্যের কারণে একই ভাষার অন্তর্গত বিভিন্ন পরিবার বা গৃহে বিভিন্নরকম ভাবে কথা বলার রীতি প্রচলিত রয়েছে। তাই শিশু যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করে সেই পরিবারের কথা বলার ভঙ্গিমা সে অনুকরণ করতে থাকে।
শিশু যে গৃহে জন্মগ্রহণ করে এবং যে গৃহের ব্যক্তিবর্গ অর্থাৎ মা, বাবা, আত্মীয়-পরিজন প্রমুখের কাছ থেকে সে যে ভাষা শেখে এবং ভাষা প্রয়োগের যে ভঙ্গিমা বা শৈলী আয়ত্ত করে এবং যার মাধ্যমে সে বাবা, মা, আত্মীয়-পরিজনের সাথে ভাবের আদান-প্রদান করে সেটাই হল তার গৃহভাষা।
একজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক ও পাঠ্য বইকে অনুসরণ করে যে ভাষা আয়ত্ত করে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে জ্ঞান, তথ্য ও ভাবের আদান-প্রদান করে যে ভাষার মাধ্যমে সেটিই হল তার বিদ্যালয় ভাষা। সাধারণত প্রত্যেকের গৃহভাষার ধরন আলাদা আলাদা হয় কিন্তু বিদ্যালয়ে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ভাষার বিভিন্ন রূপ ব্যবহার করা যেমন সম্ভব নয় তেমনি ব্যবহার করা উচিতও না। বিদ্যালয়ের ভাষা অবশ্যই যে কোন ভাষার আদর্শ রূপ হবে।
৯) আদর্শ ভাষার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
উত্তর - ক) আদর্শ ভাষা মূলত ভদ্র ও সভ্য সমাজের ভাষা।
খ) আদর্শ ভাষা যে কোন ভাষার মার্জিত ও পরিশীলিত রূপ।
গ) আদর্শ ভাষায় যে কোন দেশের সরকারি কাজকর্ম পরিচালিত হয়।
ঘ) আদর্শ ভাষায় মৌখিক রূপের পাশাপাশি লিখিত রূপও বিদ্যমান।
ঙ) ভাষার সৌন্দর্য ও গুণগত মান বা বিশ্বে ভাষার স্থান নির্ণয় মূলত ভাষার আদর্শ রূপের নিরিখেই হয়ে থাকে।
চ) আদর্শ ভাষার সঙ্গে শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য যোগ রয়েছে, তাই শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে আদর্শ ভাষাকেই বেছে নেওয়া হয়।
১০) উপভাষা কাকে বলে?
উত্তর- ভাষার সাথে সংস্কৃত উপসর্গ 'উপ' যুক্ত হয়ে উপভাষা শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। উপ শব্দটি সমীপ্যার্থে ব্যবহৃত হয়। তাই উপভাষা মানে ভাষার কাছাকাছি/সামনে বা প্রত্যক্ষ রূপ বোঝায়। আবার ইংরেজি Dialect (উপভাষা) শব্দটি ফ্রেঞ্চ শব্দ 'Dialecte', গ্রীক শব্দ 'Dialecktos' এবং ল্যাটিন শব্দ 'Dialectus' থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। ইংরেজি ভাষায় এই শব্দগুলির অর্থ 'Way of speaking' বা Local language.
উপভাষা আসলে আদর্শ ভাষারই একটি আঞ্চলিক রূপ। এই আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যের জন্যই আদর্শ ভাষা থেকে উপভাষা কিছুটা পৃথক রূপ লাভ করেছে। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের প্রচলিত মুখের ভাষাই উপভাষা হিসেবে স্বীকৃত।
উপভাষার সংজ্ঞায় প্রখ্যাত ভাষাতাত্ত্বিক ড. সুকুমার সেন বলেছেন- "কোন ভাষা সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ছোট ছোট দলে বা অঞ্চলবিশেষে প্রচলিত ভাষাছাঁদকে উপভাষা বলে।"
Michael Pearce এর ভাষায়- "Dialect is a particular variety of a language which is regionally or socially distinctive."
অর্থাৎ, উপভাষা হল একটি ভাষার আঞ্চলিক রূপ, যেটি ভৌগলিকভাবে পৃথক কোন একটি অঞ্চলের ভাষাগোষ্ঠী অন্যান্য ভাষাগোষ্ঠীর থেকে একটু আলাদা ও স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহার করে থাকে।
১১) লেখ্যভাষার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
উত্তর- লেখ্যভাষার বৈশিষ্ট্য-
i) লেখ্যভাষা লিখন নির্ভর ও সর্বদা সৃজনশীল।
ii) লেখ্য ভাষার মাধ্যমেই পাঠ্যপুস্তকের সাহায্যে লেখকের অভিপ্রায়, ভাবনাচিন্তা, সৃষ্টিসম্ভার পাঠকের কাছে পৌঁছে যায়।
iii) লেখ্য ভাষার কোন কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সবসময়ই বিরাজ করতে পারে।
iv) একই ভাষার অন্তর্গত বিভিন্ন অঞ্চলের লেখ্যভাষার মধ্যে প্রভেদ থাকে না।
v) লেখ্য ভাষা ভাষার আদর্শ রূপের পরিচয় বহন করে। সেইজন্য এই ভাষা সাবলীল, সর্বজনবোধ্য ও সর্বজনগ্রাহ্য।
১২) ভাষাগত দক্ষতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর- যে কোন ভাষা সঠিকভাবে পড়তে পারা, সঠিকভাবে লিখতে পারা, সুন্দর ও নির্ভুলভাবে বলতে পারাই হলো ভাষা দক্ষতা। কোন শিক্ষকের বিষয়গত জ্ঞান থাকার পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতা থাকাও বিশেষ প্রয়োজন। প্রতিনিয়ত অভ্যাস ও প্রশিক্ষণের দ্বারাই শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ভাষা শিখনে দক্ষতার বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
১৩) পঠন দক্ষতা কী?
উত্তর- ভাষা বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের একটি অন্যতম পন্থা হল পঠন দক্ষতা বা Reading proficiency. শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণকালে নানা পর্যায়ে নানা পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও বহু প্রয়োজনীয় বইপত্র পড়তে হয়। সেই পড়ার মধ্য দিয়েই পাঠের অভ্যাস গড়ে ওঠে। আবার এই পাঠের অভ্যাস থেকেই তৈরি হয় পঠন দক্ষতা। মনোযোগ, একাগ্রতা, অধ্যাবসায়, একান্ত অনুশীলন প্রভৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাঠে দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
১৪) প্রশ্নকরণ কী?
উত্তর- বিভিন্ন শিক্ষণ কৌশলগুলির মধ্যে অন্যতম হল প্রশ্নকরণ। প্রশ্নকরণ শিখনের একটি প্রাচীন কৌশল। প্রাচীন ভারতীয় বিদ্যাচর্চার ক্ষেত্রে, পাশ্চাত্য সভ্যতার পীঠস্থান গ্রিসদেশে, গীতার শিক্ষায়, শিক্ষাগুরু সক্রেটিসের শিক্ষা নীতিতে এই প্রশ্নকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণ কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রশ্ন ব্যক্তিজীবনে উদ্দীপকের ভূমিকা পালন করে।
১৫) মৌখিক বা কথ্যভাষা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর- মৌখিক বা কথ্যভাষা (Oral language) বলতে বোঝায় যে কোন ভাষার কথ্য বা মৌখিক রূপ। যখন কোন ভাষা মৌখিক রূপে ব্যবহৃত হয় এবং যার সাহায্যে মানুষ অন্য ব্যক্তির কাছে তার মনোভাব ব্যক্ত করে ও নিজের প্রয়োজন সিদ্ধ করে সেটিই হল মৌখিক বা কথ্যভাষা। অর্থাৎ মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত ভাষাই হল মৌখিক বা কথ্যভাষা।
১৬) মুক্ত প্রশ্নের দুটি সুবিধা লিখুন।
উত্তর- মুক্ত প্রশ্নের দুটি সুবিধা-
i) এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর শিক্ষার্থীরা নিজের ভাষায় প্রকাশ করতে পারে।
ii) এখানে শিক্ষার্থী নিজের মতামত ব্যক্ত করতে পারে এবং প্রশ্নোত্তর প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে।
১৭) বদ্ধপ্রান্ত প্রশ্নের দুটি সুবিধা লিখুন।
উত্তর- বদ্ধপ্রান্ত প্রশ্নের দুটি সুবিধা-
i) এই ধরনের প্রশ্নের একটিমাত্র নির্দিষ্ট উত্তর থাকে, তাই শিক্ষকের মূল্যায়নে সুবিধা হয়।
ii) এই ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর জ্ঞান পরিমাপ করা যায়।
১৮) বহুসংস্কৃতিবাদ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর- বহুসংস্কৃতিবাদ বলতে একটি সমাজের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয়, জাতিগত বা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সহাবস্থানকে বোঝায়। বহুসাংস্কৃতিক সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজেদের সংস্কৃতি, জীবন-প্রণালী, ভাষা, শিল্প-সাহিত্য, ঐতিহ্য, রুচি, আদর্শ, বিশ্বাস প্রভৃতি একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেয়। একটি মিশ্র জাতিগত সম্প্রদায় একই এলাকায় একাধিক সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী এবং ঐতিহ্য বজায় রাখে। যেমন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা প্রকৃতি রাষ্ট্রগুলিতে বহুসংস্কৃতি বিদ্যমান।
১৯) স্কিমা কী?
উত্তর- স্কিমা (Schema) হল মানুষের দ্বারা সংগৃহীত জ্ঞানভান্ডার। প্রতি মুহূর্তে মানুষের যে জ্ঞান বা তথ্য সংগৃহীত হচ্ছে সেটিই হল স্কিমা বা তথ্যকোষ। এককথায় জ্ঞান সংগঠন বা তথ্য সংগঠনই হল স্কিমা। শিক্ষাক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানী Burtlett প্রথম স্কিমা তত্ত্বটির প্রয়োগ ঘটান।
Hossein Tavakoli স্কিমার সংজ্ঞায় বলেছেন- "A schema is a complex knowledge structure groups all that an individual knows about or associates with a particular concept." অর্থাৎ স্কিমা হল একটি জটিল জ্ঞান প্রক্রিয়া, যার সাহায্যে কোন ব্যক্তি নিজ অর্জিত জ্ঞানের সঙ্গে অন্য কোন অর্জিত জ্ঞানের সংযোগ রক্ষা করে।
২০) বর্ণনামূলক পাঠ্যাংশ কী?
উত্তর- যে পাঠ্য বিষয় কোন বিশেষ ঘটনা, কাহিনী, তথ্য ইত্যাদি পাঠকের সামনে যথার্থ ও সার্থকভাবে বর্ণনা করে তাকেই বর্ণনামূলক পাঠ্য বা Expository text বলে। কোন বার্তাকে বর্ণনার আকারে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই হল এই ধরনের পাঠ্যবিষয়ের লক্ষ্য। কোন ঘটনার বিবৃতি, ভ্রমণ সংক্রান্ত গল্প বা প্রবন্ধ, সংবাদপত্রের আর্টিকেল, রচনা ইত্যাদি এই ধরনের পাঠ্যের অন্তর্ভূক্ত।
২১) ব্যাখ্যানমূলক/আখ্যানধর্মী পাঠ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর- ব্যাখ্যানমূলক/আখ্যানধর্মী পাঠ্য (Narrative text) বলতে বক্তা বা লেখকের নিজের জবানীতে লেখা কোন গল্প বা রচনাকে বোঝায়। এই ধরনের পাঠ্য বিষয়ে লেখক বা বক্তা প্রচ্ছন্ন অবস্থায় থাকেন না, তিনি প্রকাশ্যে নিজের বক্তব্য শ্রোতার সামনে তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে লেখক এবং পাঠকের মধ্যে সরাসরি সংযোগ ঘটে। কোন গল্প, ছোটগল্প, উপন্যাস এই ধরনের পাঠ্যের অন্তর্গত।
২২) প্রয়োগমূলক প্রশ্ন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর- কোন নতুন অধিত বিষয়কে প্রয়োগ করার ক্ষমতা নির্ণয়ের জন্য এই ধরনের প্রশ্ন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহের পর তা শিক্ষার্থীর উপলব্ধির স্তরে পৌঁছালো কিনা তা জানার জন্য এই ধরনের প্রশ্ন ব্যবহার করা হয়ে থাকে অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক থেকে লব্ধ জ্ঞান বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারছে কিনা তা যাচাই করার জন্যই শিক্ষক এই ধরনের প্রশ্ন ব্যবহার করে থাকেন।
কোর্স-৪ এর প্র্যাক্টিকামের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
0 Comments: