google.com, pub-5145004260852618, DIRECT, f08c47fec0942fa0 শিখনের সমগ্রতাবাদের তত্ত্ব/গেস্টাল্টবাদী তত্ত্ব (Gestalt theory of learning)
INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

শিখনের সমগ্রতাবাদের তত্ত্ব/গেস্টাল্টবাদী তত্ত্ব (Gestalt theory of learning)

শিখনের সমগ্রতাবাদের তত্ত্ব/গেস্টাল্টবাদী তত্ত্ব (Gestalt theory of learning)

    কিছু কিছু মনোবিজ্ঞানীদের মতে, শিখন কোন যান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়, সমস্যামূলক পরিস্থিতির সমগ্র রূপকে উপলব্ধি করার পরেই শিখন সম্ভব। যে সমস্ত মনোবিজ্ঞানীরা এই যান্ত্রিক উদ্দীপক প্রতিক্রিয়ার তত্ত্ব স্বীকার করেননি তারা হলেন সমগ্রতাবাদী। জার্মান ভাষায় 'Gestalt' কথার অর্থ সমগ্র অবয়ব বা সমগ্র রূপ। তাই এই ধরণের শিখন তত্ত্বকে গেস্টাল্ট তত্ত্ব বলা হয়। গেস্টাল্ট তত্ত্বে বিশ্বাসী মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম হলেন- কোহলার, কার্ট কফকা, ম্যাক্স ওয়ার্দিমার।




    গেস্টাল্টবাদী মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, শিখন বিচার বিবেচনাহীন কোন যান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। আমরা যখন কোন কিছু প্রত্যক্ষণ করি তখন সেটিকে খন্ড খন্ড ভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে প্রত্যক্ষ করি না, সমগ্রভাবে প্রত্যক্ষ করি। আমরা যখন একটি সুন্দর ফুলের মালা দেখি তখন তার মধ্যে কোন্ কোন্ ফুল রয়েছে সেগুলি না দেখে সামগ্রিকভাবে মালাটিকেই দেখি। তাই এই মতবাদকে সমগ্রতাবাদের তত্ত্ব (Field theory) বলা হয়। এক্ষেত্রে সমস্যামূলক পরিস্থিতির সমগ্র রূপকে উপলব্ধি করার পরেই শিখন সম্ভব হয়। 


অন্তর্দৃষ্টি জাগরণের জন্য গেস্টালবাদীরা দুটি মানসিক প্রতিক্রিয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন-


i) পৃথকীকরণ- প্রাণী যখন শিখন পরিস্থিতির মধ্যে যেগুলি অপ্রাসঙ্গিক বা অপ্রয়োজনীয় সেগুলিকে বাদ দিয়ে কেবলমাত্র প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলি গ্রহণ করে তখন তাকে পৃথকীকরণ বলে।


ii) সামান্যীকরণ- সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে সামান্যধর্মীয় সূত্র তৈরী করাই হল সামান্যীকরণ। 


গেস্টাল্ট মতবাদের মূল নীতি-


    গেস্টাল্টবাদীরা শিখন পরিস্থিতির সংগঠন ও তার বিভিন্ন অংশের মধ্যে সম্পর্কের উপলব্ধির উপর বেশি জোর দিয়েছেন। গেস্টাল্টবাদীরা সামগ্রিক প্রত্যক্ষণের কয়েকটি নীতির কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন-


১) বিচ্ছিন্নকরণের নীতি- সংগঠিত বিষয়বস্তু থেকে প্রথমে আমরা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি বাদ দিয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়কে মূল সংগঠন থেকে আলাদা করে নিই। যেমন, আমরা যখন আকাশে কালপুরুষ বা সপ্তর্ষিমণ্ডল দেখতে চাই তখন আকাশে অসংখ্য তারা থাকে কিন্তু এই অসংখ্য তারা বাদ দিয়ে আমরা শুধুমাত্র কালপুরুষ বা সপ্তর্ষিমণ্ডলকেই দেখি।

 

২) সাদৃশ্যের নীতি- সাদৃশ্যমূলক বিষয়বস্তু বা ধারণাগুলিকে আমরা সহজেই সংগঠিত করতে পারি বা মনে করতে পারি। বিচ্ছিন্ন বিষয়বস্তু অপেক্ষা সাদৃশ্য বিষয়বস্তুকে আমরা সহজে মনে রাখতে পারি তাই গেস্টাল্টবাদীরা এই নীতির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। যেমন, শিক্ষার্থী যদি গণিতের কোন শর্টকাট নিয়ম শিখে নেয় তাহলে পরীক্ষায় ওই ধরনের যে অঙ্কই আসুক না কেন সেটিকে সে সহজেই করে দিতে পারবে।


৩) নৈকট্যের নীতি- যে সমস্ত বিষয়বস্তুর ধারণা স্থানগত এবং সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে কাছাকাছি থাকে সেগুলোকে আমরা সহজেই মনে করতে পারি। যেমন, ব্যাকরণের কোন সূত্র মনে রাখতে হলে অবশ্যই সেটির উদাহরণকে মনে রাখতে হবে। নচেৎ অন্য সূত্রের সাথে সেটিকে পৃথক করতে পারবে না বা কিছুদিন পরে সেই সূত্রটি শিক্ষার্থী ভুলে যাবে। 


৪) ধারাবাহিকতার নীতি- গেস্টালবাদীদের মতে শিখন হয় অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে। কিন্তু বিষয়বস্তুর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে তবেই অন্তর্দৃষ্টি তৈরি হয়। যে সমস্ত বিষয়বস্তুর মধ্যে ধারাবাহিকতা দেখা যায় সেগুলোকে সহজেই সংগঠিত করা যায় বা মনে করা যায়। যেমন, শিক্ষার্থীদের মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া পড়াতে গেলে প্রথমে হৃৎপিণ্ড, শিরা, ধমনী, রক্ত প্রভৃতি ধারাবাহিকভাবে পড়ানো উচিৎ। তবেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়ার সঠিক ধারণা তৈরি হবে। 


৫) পরিমিতির নীতি- পূর্বার্জিত অভিজ্ঞতার সঙ্গে সমস্যামূলক পরিস্থিতির বিভিন্ন অংশের মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপন করতে পারলে শিখনলব্ধ অভিজ্ঞতাটি সুসংবদ্ধ ও সুসংহত করা সহজ হয়। যেমন, শিক্ষার্থীদের রামায়ণের কাহিনী আগে থেকে শোনা থাকলে তবেই তারা রাম রাবণের যুদ্ধ কেন হয়েছিল তা অনায়াসেই বর্ণনা করতে পারবে। 


কোহলারের পরীক্ষা- মনোবিজ্ঞানী কোহলার একটি খাঁচাতে কিছু কলা উপর থেকে ঝুলিয়ে দিলেন এবং খাঁচার মধ্যে দুটি কাঠের বাক্স রেখে দিলেন। বাক্স দুটির উচ্চতা এমনই যে কোনো একটির উপরে দাঁড়ালে কলার নাগাল পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু দুটি বাক্স একটির উপরে আর একটি রাখলে সহজেই কলার নাগাল পাওয়া যায়। এই অবস্থায় কোহলার অনেকগুলি শিম্পাঞ্জিকে খাঁচায় ঢোকালেন। কিন্তু কোনো শিম্পাঞ্জিই কলা পাড়তে পারল না। অবশেষে সুলতান নামে একটি বুদ্ধিমান শিম্পাঞ্জিকে খাঁচায় ঢুকিয়ে কোহলার একটি হাতের উপর আর একটি হাত রেখে ইশারা করতেই, সুলতান বাক্সদুটি সাজিয়ে কলা নামিয়ে নিল। পরবর্তীতে কোহলার যতবারই পরীক্ষা করেন ততবারই সুলতান কোনো ভুল না করে প্রত্যেকবারই কলা নামাতে পারল বা শিখল।




    একইরকমভাবে অপর একটি পরীক্ষায় কলা রাখা হল খাঁচার বাইরে আর খাঁচার মধ্যে রাখা হল দুটি লাঠি। দুটি লাঠির কোনটি দিয়েই কলার নাগাল পাওয়া যায় না। কিন্তু লাঠি দুটি যদি একসঙ্গে আটকানো যায় এবং তখন খাঁচার ভেতর থেকে কলা টেনে আনা হয়। এখানেও সুলতানকে খাঁচার মধ্যে ঢোকানো হল এবং কোহলার ইঙ্গিত দেওয়ার সাথে সাথে সুলতান লাঠিদুটি নিয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ লাঠিদুটি জুড়ে ফেলে এবং সহজেই কলা টেনে নিয়ে আসে।


    দুটি ক্ষেত্রেই সুলতান যখন সমগ্র পরিস্থিতি বিচার করতে পেরেছে তখনই সে হঠাৎ করে সমস্যা সমাধানের পন্থা খুঁজে বার করতে পেরেছে। হঠাৎ করে এই সমস্যা সমাধান করতে পারাকে গেস্টাল্ট মনোবিজ্ঞানীরা অন্তর্দৃষ্টি বলেছেন। এজন্য গেস্টাল্ট শিখন তত্ত্বকে অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন বা (Insightful learning) বলা হয়।

 

গেস্টাল্ট তত্বের শিক্ষাগত তাৎপর্য-


শিক্ষাক্ষেত্রে গেস্টাল্ট তত্ত্বের প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গেস্টাল্টবাদীরা মুখস্ত করার পদ্ধতি গ্রহণ করতে চায় না এবং তাদের মতে প্রচেষ্টা ও ভুলের মাধ্যমে শিখনের ক্ষেত্রে সময় ও শ্রমের অপচয় হয়। শিখন হয় অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়াতে শিক্ষার্থীর কল্পনাশক্তি, বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা, চিন্তা করার ক্ষমতা উন্নত হয়। বর্তমান শিক্ষাক্ষেত্রে গেস্টাল্ট মতবাদ কিভাবে প্রভাবিত করেছে তা নিম্নে আলোচনা করা হল-


1) বিষয়বস্তুর সামগ্রিক উপস্থাপন: শ্রেণিকক্ষে কোন বিষয় পড়ানোর সময় শিক্ষক মহাশয় সমগ্ৰ বিষয়বস্তু সম্বন্ধে একটা পূর্ণ ধারণা অর্জন করার জন্য সমগ্র বিষয়টি শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করবেন। তারপর সামগ্রিক বিষয়টিকে খণ্ড-খণ্ড অংশে ভাগ করে বিশ্লেষণ করবেন। যদি প্রথমেই শিক্ষনীয় বিষয়বস্তুটি ছোট ছোট অংশে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, তাহলে তারা সমগ্র বিষয়টি সম্বন্ধে পরিপূর্ণ ধারণা অর্জন করতে পারবে না। যেমন – একটা সম্পূর্ণ কবিতার মধ্যে যে ভাব থাকে তা না বুঝিয়ে যদি কবিতাটির বিভিন্ন অংশ শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয় তাহলে কবিতাটির সম্পূর্ণ ভাব শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে না।


2) অন্তৰ্দৃষ্টিমূলক শিখন: গেস্টাল্টবাদীদের মতে শিখন হয় অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে। যখন শিক্ষার্থী সমগ্ৰ সমস্যাটির অন্তর্গত বিভিন্ন অংশগুলির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে তখন তার মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি সৃষ্টি হয়। সুতরাং শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় শিক্ষককে বিষয়বস্তু এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা সমস্যামূলক পরিস্থিতির বিভিন্ন অংশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।


3) যান্ত্রিক প্রচেষ্টার নিরসন: গেস্টাল্টবাদীরা মুখস্ত পদ্ধতি বা যান্ত্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করতে চায় না। শিখন কোন অন্ধ বা যান্ত্রিক প্রচেষ্টা নয়। শিক্ষার্থীর যাতে সময় ও শ্রমের অপচয় না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই শ্রেণিকক্ষে বিষয়বস্তুকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বিষয়ের অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পারে এবং মুখস্ত করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকে।


4) পৃথকীকরণ ও সামান্যীকরণ: শিক্ষার্থীদের মধ্যে পৃথকীকরণ ও সামান্যীকরণ এই দুই মানসিক প্রক্রিয়া যাতে সৃষ্টি হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষণীয় বিষয়ের অন্তর্গত অপ্ৰয়োজনীয় বিষয়গুলিকে বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলিকে বেছে নিতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।


5) শিখনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীকে অবহিত করা: শিখনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। শিখনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য যদি শিক্ষার্থীর না জানা থাকে এবং শিখন পরিস্থিতি যদি বন্ধ থাকে তাহলে শিখনও যান্ত্রিক হয়। গেস্টাল্ট মতবাদ শিখন পরিস্থিতিকে উন্মুক্ত রাখে এবং শিক্ষার্থীকে তার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সম্বন্ধে সম্পূর্ণভাবে জানতে সহায়তা করে। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সুযোগ পায়।


6) শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা- শিখনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা একান্তভাবে প্রয়োজন। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপযুক্ত শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গী, সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর পাঠ্য বিষয়ের প্রতি প্রেষণা সৃষ্টি হবে, যাতে শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে পাঠে অংশগ্রহণ করে।


7) বিষয়বস্তুর ধারাবাহিক উপস্থাপন: শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি জাগিয়ে তোলার জন্য পাঠদান কালে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের পাঠ্যবিষয়ের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই বিষয়টি আয়ত্ত্ব করতে পারে।


৪) সামঞ্জস্যতা: শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে যেগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত সেগুলিকে কম সময়ের ব্যবধানে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। যাতে এই দুটি বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অন্তর্দৃষ্টি জাগ্রত হয়। কিন্তু যদি একটি বিষয় পড়ানোর পর আরেকটি অনেকদিন বাদে পড়ানো হয় তবে সহজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি জাগ্রত হবে না।


9) বুদ্ধিগত ও প্রাক্ষোভিক প্রস্তুতি: শিখনের সাফল্য নির্ভর করে সমস্যামূলক পরিস্থিতির বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের উপর। শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের যাতে বুদ্ধিগত ও প্রক্ষোভিক প্রস্তুতি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শিখন প্রক্রিয়াটিকে এমন ভাবে পরিচালিত করতে হবে শিক্ষার্থীর বোধশক্তি ও গ্রহন ক্ষমতার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে।


0 Comments: