BSAEU, B.ED. SEM-IV, Course: EPC-3 Creating and using Blogs and Google docs.
INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

BSAEU, B.ED. SEM-IV, Course: EPC-3 Creating and using Blogs and Google docs.

BSAEU, B.ED. SEM-IV, Course: EPC-3 Creating and using Blogs and Google docs.

 

Introduction:- নিজের প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বা কোন একটি নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখার বিষয়বস্তু ইন্টারনেটে সবার সঙ্গে শেয়ার করাকে ব্লগিং বলা হয়। যেসব ওয়েবসাইটে এই লেখাগুলি প্রকাশ করা হয় তাকে ব্লগ বলে। আমরা যেমন বিভিন্ন ধরনের বিষয় ডায়রিতে লিখে রাখি ব্লগ পোস্ট ও ঠিক সেইরকম। ডায়রিতে লেখার সময় যেমন উপরে টাইটেল লেখা হয়, ব্লগ পোস্টেও তেমন টাইটেল ইত্যাদি লিখতে হয়। ডায়রিতে লিখতে হয় অফলাইনে আর ব্লগে অনলাইনে লিখতে হয়, পার্থক্য শুধু এটুকুই। এককথায় ব্লগ হচ্ছে একটি ব্যক্তিগত ডাইরির মত। তবে ব্লগে লিখিত বিভিন্ন বিষয় গুছিয়ে পরিষ্কার করে লিখতে হয়, কারণ ডায়রির পাঠক সাধারণত লেখক নিজেই কিন্তু ব্লগ পড়ার জন্য অসংখ্য পাঠক থাকে। তাই ব্লগ পোস্টকারী বা ব্লগারকে এব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয়।


Conceptual literature:- Blog শব্দটির আবির্ভাব 'Weblog' থেকে। Weblog শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১৭-ই ডিসেম্বর। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে আগষ্ট আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোতে Pine labs নামক একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়গুলিকে একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য সর্বপ্রথম Blogger.com তৈরি করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই Blogger.com অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করে। তবে সেইসময়েই ঘটে বিপত্তি। Blogger.com এতটাই আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয় যে এটির সার্ভার চালানোর মত যথেষ্ঠ অর্থ Pine labs এর কাছে ছিল না। অবশেষে ২০০২ সালে Blogger.com কে Google কিনে নেয় এবং তার সংস্কারের জন্য কাজ শুরু করে।এরপর থেকে Google ও Blogger.com একত্রিত হয়ে কাজ করে আসছে। বর্তমানে জনপ্রিয় কিছু ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের (blogger.com, wordpress.com, wix.com, squarespace.com) মধ্যে অন্যতম হল blogger.com যার হোস্টিং Google এর নিজস্ব সার্ভার এবং এর সাবডোমেইন ব্লগস্পট নামে পরিচিত। blogger.com থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্লগ তৈরি করা যায়। 


Objectives:- উক্ত প্রায়োগিক কার্যটির উদ্দেশ্যগুলি নিম্নরূপ-

(১) পাঠকদের সময়মতো প্রাসঙ্গিক এবং মূল্যবান তথ্য প্রদান করা।

(২) নিজের ব্যাক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা।

(৩) কম সময়ে অতি সহজে অধিক তথ্য প্রদান করা।

(৪) ব্লগ লেখার মধ্য দিয়ে অর্থ উপার্জন করা।

(৫) জনহিতকর তথ্যাবলীর সম্প্রচার ও সম্প্রসার ঘটানো।

(৬) শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য (প্রযুক্তি, কারুশিল্প, শিশুর যত্ন, আভ্যন্তরীণ নকশা) প্রদান।

(৭) সৃজনশীলতা বৃদ্ধি এবং প্রতিভার উন্মেষ ঘটানো।

(৮) লাইফ জার্নাল হিসেবে ব্যক্তিগত রেকর্ড পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করা।

(৯) আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শেখা।

(১০) সঠিক তথ্য ও ছবির পাশাপাশি পন্য পরিসেবা প্রদান করা।


Guidelines for the activity:- বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বি.এড. চতুর্থ সেমেস্টারে EPC-3 এর অন্তর্গত 'Creating and using Blogs and Google docs' নামক প্রায়োগিক বিষয়টি সম্পন্ন করতে আমরা সমস্ত (বি.এড. বিভাগের) শিক্ষার্থী মহাবিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রয়োগশালায় পৌঁছে শিক্ষক মহাশয়ের সহায়তায় হাতেকলমে শেখার সুযোগ পেয়েছি।




Execution:- অনলাইনে ব্লগ তৈরির পূর্বে তার সম্পূর্ণ নিয়মকানুন বিস্তারিত ভাবে জানলাম। বিনামূল্যে ব্লগ অ্যাকাউন্ট বানানোর জন্য প্রথমে Google এ গিয়ে blogger.com লিখে সার্চ করার পর gmail account এর username এবং password দিয়ে সাইটে প্রবেশ করলাম। blogger.com সাইটে gmail দিয়ে login করার পর setup page অপশন আসে, setup page এ ক্লিক করতে create Google plus account এসে গেল। এরপর create Google plus account ক্লিক করে সম্পূর্ণ তথ্য (ব্লগের নাম, অ্যাড্রেস ইত্যাদি) দিয়ে ফর্মটি পূরণ করার সাথে সাথেই ব্লগার সাইট ক্রিয়েট হয়ে গেল। তারপর continue to blogger অপশনে ক্লিক করলে একটি Dashboard সামনে চলে এলো। ব্লগারের ড্যাশবোর্ডে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি লক্ষ্য করলাম-

New post: এখানে ক্লিক করে বিভিন্ন নতুন বিষয় পোস্ট করা যায়।



Posts: এর মধ্যে ক্লিক করলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট যতগুলি আর্টিকেল লেখা হয়েছে সব দেখা যায়।

Stats: ব্লগে মোট কতজন ভিজিটর এসেছে এবং কোথা থেকে এসেছে সেগুলি এখান থেকে দেখা যায়।



Comments: এখান থেকে সমস্ত কমেন্টস দেখা যায়, প্রয়োজনে ডিলিট ও করা যায়।

Earnings: এই অপশন থেকে Google Adsense এ গিয়ে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়।



Pages: এখান থেকে ব্লগার নিজের সম্পর্কে জানতে পারবে এবং ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পলিসি, নানান পেজ তৈরি করতে পারবে।


Layout: ব্লগের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের gadget ব্যবহারের পাশাপাশি ব্লগকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায়।



Themes: এখানে ক্লিক করে ব্লগে বিভিন্ন ধরনের থিমস ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা যায়, প্রয়োজনে এডিট ও ডিলিট করা যায়।



Settings: ব্লগের নাম অ্যাড্রেস পরিবর্তন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখান থেকে করা যায়।


Conclusion:- আধুনিক বিশ্ব তথা আমাদের ভারতবর্ষ আজ অনলাইনের পথে পাড়ি দিচ্ছে। এর অন্তরালে যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সেটি হল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT)। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যবহারের জন্য সমগ্র বিশ্বজগৎ আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। আধুনিকতার যুগে আমরা অনেক কম সময়ে অতি দ্রুততার সাথে এবং সুরক্ষিত উপায়ে অধিক কার্য সম্পাদনে সক্ষম হয়েছি। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তিবিদ্যার স্পর্শ ছাড়া আমরা একেবারেই অচল হয়ে পড়েছি। আমরা যদি একটু শিক্ষাজগতের দিকে চোখ রাখি তাহলে দেখতে পাব বর্তমান পাঠককূল আজ পাঠ্যবই, গল্পের বই, কবিতা, ছড়া, উপন্যাস, সংবাদপত্র এসবের প্রতি অনীহা প্রকাশ করছে। তবে এরা অনলাইনে কোন লেখা বা আর্টিকেল দেখলে সেটাকে একবার দ্রুত চোখ বুলিয়ে নিতে ভোলে না। সুদক্ষ ব্লগাররা তাদের ব্লগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি সুনাম ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। আবার পাঠকরাও ঘরে বসে খুব অল্প সময়ে এক ক্লিক -এই অধিক তথ্য পেয়ে যাচ্ছে। আবার বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপনী প্রচারের দ্বারা মার্কেটিং করে লাভবান হচ্ছে । আবার ব্লগার-রা এর মাধ্যমে নিজের প্রোডাক্ট ও বিক্রি করতে পারেন। সব মিলিয়ে ব্লগ লেখার অনেক সুবিধা ও অসুবিধা পর্যালোচনা করার পর আমার মনে হয়েছে আধুনিক এই পদ্ধতি সমগ্র শিক্ষক তথা শিক্ষার্থীসমাজে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য। তাই এই ধরনের একটি প্রয়োগিক বিষয়কে পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। 

0 Comments: