
ব্লগ কী? শ্রেণীকক্ষে এর ব্যবহার (What is Blog? Use of Blog in Classroom)
ব্লগ (Blog) বলতে বোঝায় একটি অনলাইনভিত্তিক ব্যক্তিগত বা দলীয় ডায়েরি অথবা লেখার প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে থাকে। এটি "ওয়েব লগ" (Web Log) শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ।
ব্লগ হল এমন একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব পৃষ্ঠা, যেখানে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নিজের মতামত, অভিজ্ঞতা, তথ্য, বিশ্লেষণ বা যেকোনো বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট বা লেখা প্রকাশ করে।
ব্লগের বৈশিষ্ট্য:-
- নিয়মিত হালনাগাদ (Update) করা হয়।
- ব্যক্তিগত মতামত বা বিশ্লেষণ প্রকাশের মাধ্যম।
- পাঠকরা মন্তব্য করতে পারেন।
- লেখা সাধারণত তারিখ অনুসারে সাজানো থাকে।
- লেখাগুলোতে ছবি, ভিডিও ও লিংক সংযুক্ত করা যায়।
ব্লগের ব্যবহার:-
ব্লগ (Blog) একটি অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ, চিন্তাভাবনার আদান-প্রদান এবং পাঠ-সম্পর্কিত আলোচনা চালানোর একটি কার্যকর মাধ্যম। শিক্ষক এটি শ্রেণিকক্ষে ব্যবহার করে পাঠদানকে আরও ইন্টারঅ্যাকটিভ ও শিক্ষণীয় করে তুলতে পারেন।
শ্রেণীকক্ষে ব্লগের ব্যবহার পদ্ধতি:
১. পাঠ-সংক্রান্ত উপকরণ শেয়ার : শিক্ষক ব্লগে পাঠ্যবিষয়ক নোট, ভিডিও, প্রেজেন্টেশন, অতিরিক্ত রিসোর্স শেয়ার করতে পারেন যা শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পড়তে পারবে।
২. হোমওয়ার্ক ও অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান : শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত হোমওয়ার্ক বা প্রজেক্ট দিয়ে ব্লগে জমা দিতে বলা যেতে পারে। এটি তাদের অনলাইন লেখালেখির অভ্যাস গড়তে সাহায্য করবে।
৩. শিক্ষার্থীদের মতামত বা প্রতিক্রিয়া নেওয়া : ব্লগের কমেন্ট সেকশনে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক মতামত বা প্রশ্ন লিখতে পারে। এতে তারা আলোচনা ও বিশ্লেষণমূলক চিন্তা করতে শেখে।
৪. সৃজনশীল লেখার চর্চা : শিক্ষার্থীদের নিজেদের রচনা, কবিতা, গল্প ইত্যাদি ব্লগে প্রকাশ করতে উৎসাহিত করলে তাদের সৃজনশীলতা বাড়ে।
৫. সহপাঠী মূল্যায়ন : একজন শিক্ষার্থীর লেখা অন্য শিক্ষার্থীরা পড়ে মন্তব্য করলে পারস্পরিক শেখার সুযোগ তৈরি হয়।
৬. অনলাইন বিতর্ক বা আলোচনার আয়োজন : ব্লগে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে বিতর্ক বা আলোচনা চালু করে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করানো যায়।
৭. রিফ্লেকশন বা শেখার অভিজ্ঞতা লিখতে উৎসাহ :
পাঠ শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের শেখার অভিজ্ঞতা বা ব্যক্তিগত উপলব্ধি লিখে ব্লগে পোস্ট করতে পারে।
ব্লগ ব্যবহারের সুবিধা:
i) যে কোনো সময় ও স্থান থেকে পড়াশোনা চালানো যায়।
ii) শিক্ষার্থীদের লেখার দক্ষতা ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান বাড়ে।
iii) শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়।
iv) শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
0 Comments: